এসএসসি শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। সে জন্য এ পরীক্ষাটি তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার ফলাফল জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। তাই এ পরীক্ষার প্রস্তুতি গুরুত্ব সহকারে নেবে।
পাঠ্যবই খুব ভালো করে পড়তে হবে। প্রতিটি বিষয়ের মূল ব্যাপার যদি ভালো করে বুঝে নাও, জেনে নাও, তবে ভালো নম্বর পাবেই। অনেক শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে গেলেই ভালো করবে—এটা মনে করে, আসলে তা ঠিক নয়। নিজেকে পড়তে হবে। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রেখে পড়তে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।
আমাদের সময় পরীক্ষার ধরন ছিল একরকম। এখন পরীক্ষার ধরন ভিন্ন। সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি অংশে পরীক্ষা হয়ে থাকে। বহুনির্বাচনিতে অবশ্যই জোর দেবে। সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি অংশে ভালো করতে হলে বিষয়টি অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে। কোনো গল্প বা অধ্যায় বাদ দিয়ে পড়বে না। এতে জানার পরিধি কমে যাবে এবং পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
নিজে থেকে পড়ো, মজা নিয়ে পড়ো। বিষয়কে ভালোভাবে জানো। সারা দিন শুধু পড়বে না, মাঝেমধ্যে বিনোদনের জন্য বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলো, গল্প করো, গল্পের বই পড়ো। আমরা গ্রুপ করে পড়েছি, তোমরা বন্ধুরা মিলে গ্রুপ করো। পড়ার বিষয় নিয়ে কথা বলো, এতে বিনোদনও হবে, পড়াও হবে। যারা বেশি টেলিভিশন দেখো, ফেসবুক ব্যবহার করো, তাদের উচিত এগুলো এখন কমানো।
অভিভাবকদের বলব, আপনারা আপনার সন্তানের পড়াশোনার প্রতি নজর দিন। এখন ঠান্ডা পড়েছে, তাই সন্তানদের স্বাস্থ্যের প্রতিও নজর দেবেন। শিক্ষার্থীদের বলব, নিয়ম করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে। সন্ধ্যার পর নিয়ম করবে পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষার আগে ভালো করে প্রতিটি বিষয় রিভিশন দেবে। তোমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হোক, সুন্দর হোক।
উপাচার্য, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, ঢাকা