নতুন ক্লায়েন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ

নতুন ক্লায়েন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবেস্ক্রিনশট
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। এ মুক্ত পেশায় তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বেশি। ঘরে বসে বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীরা। কিন্তু শুরু কীভাবে করতে হবে, ফ্রিল্যান্সার থেকে কী জানতে হবে—এ নিয়ে দ্বিধা অনেকের। অনেকে সঠিক দিকনির্দেশনাও পান না। ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে—এমন পাঠকদের জন্য শুরু হলো ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ‘ফ্রিল্যান্সিং যেভাবে’। আজ থাকছে ১৮তম পর্ব।

পর্ব-১৮

কভার লেটার পাঠানোর পর ক্লায়েন্টের কাছ থেকে সাড়া পেলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ নিয়ে আলোচনার পদ্ধতি জানা না থাকায় অনেকেই কাজের অর্ডার পায় না। কারণ, ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুসরণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেই কেবল কাজ পাওয়া যায়। আর তাই ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ধারণা পেতে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

আরও পড়ুন

সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথমেই তার পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনের বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এ জন্য প্রথমে ক্লায়েন্টের নামের বানান ও উচ্চারণ ভালোভাবে জানার পাশাপাশি সে কোথায় কাজ করছে বা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, তা জানতে হবে। কভার লেটারের উত্তর দেওয়ার সময়ই ক্লায়েন্টরা সাধারণত নিজের নাম জানিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ক্লায়েন্টের প্রোফাইলে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা থাকে। ফলে এ দুটি তথ্য পাওয়ার জন্য আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না।

আরও পড়ুন

নাম এবং প্রতিষ্ঠানের তথ্য কাজে লাগিয়ে পেশাজীবীদের যোগাযোগের সাইট লিংকডইন ও গুগলে সার্চ করলেই ক্লায়েন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ঠিকানাও মিলবে। এসব মাধ্যম থেকে ক্লায়েন্ট যে কাজের জন্য যোগাযোগ করেছে, সে কাজের উপযোগী তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চাইলে ক্লায়েন্টের সামাজিক যোগাযোগের সাইটে প্রবেশ করেও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে ক্লায়েন্টের রুচি ও কাজের ধরন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। যেমন, আপনার সঙ্গে যে ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছে, সে হয়তো ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এখন আপনি যদি ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট, লিংকডইন বা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে থাকা তার আগের কাজগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করেন, তবে সহজেই বর্তমান কাজ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। শুধু তা–ই নয়, আগের ডিজিটাল মার্কেটার কোন ধরনের কাজ করেছে, কাজগুলোর মান সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারবেন। ফলে ক্লায়েন্টের চাহিদা ও ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন।

আরও পড়ুন

যেসব কাজে সুবিধা হবে

আপনি যদি ক্লায়েন্ট বা তার প্রতিষ্ঠানের কাজের পদ্ধতি, কোন কোন পণ্য বা সেবা নিয়ে কাজ করছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারেন, তবে আপনি সহজেই নতুন কাজটি পাওয়ার জন্য নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, ক্লায়েন্টের সঙ্গে আপনি স্বচ্ছন্দে কাজ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করতে পারবেন। এর ফলে ক্লায়েন্টও আপনার সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলবে, যা আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা আপনার যত বেশি হবে, তত আপনার কাজের পরিমাণ ও বেশি পারিশ্রমিকের কাজ পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন

ক্লায়েন্টের আগ্রহ ও কাজের ধরন জানার ফলে আপনি চাইলেই অতিরিক্ত কোনো কাজ বা সেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারবেন। ক্লায়েন্ট বা তার প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী যেকোনো কাজের জন্য নিজের দক্ষতা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারলে নিয়মিত কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। শুধু তা–ই নয়, সফলভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারলে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রশংসাও পাওয়া যাবে, যা অন্য ক্লায়েন্টদের আপনার সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করবে। এভাবে ২০ জন ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করলে আপনার কাজের কোনো অভাব হবে না।

লেখক: আপওয়ার্ক টপ রেটেড প্লাস ফ্রিল্যান্সার

পরের পর্ব: ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা

আরও পড়ুন