তথ্যদাতাদের সুরক্ষায় 'নিরাপদ জয়পুরহাট' অ্যাপস
ইভ টিজিং, মাদক ও বাল্যবিবাহের তথ্য দিলে অনেক সময় তথ্যদাতার পরিচয় প্রকাশ হয়ে যায়। এতে তথ্যদাতা হুমকির মুখে পড়েন। এসব তথ্য অ্যাপসের মাধ্যমে দিলে তথ্যদাতার পরিচয় কেউ জানতে পারবে না। একই সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ তথ্য জানতে পারবেন। ফলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।
তথ্যদাতাদের সুরক্ষায় জয়পুরহাটে ‘নিরাপদ জয়পুরহাট’ নামের একটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ূন কবীর খোন্দকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ অ্যাপসের উদ্বোধন করেন। জয়পুরহাট সদর উপজেলার হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই অনুষ্ঠানে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ট্যাব বিতরণ করা হয়। এ সময় সদর উপজেলার ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষর্থী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অ্যাপসটি জয়পুরহাট সদর উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করা হলো। পুরো জেলাকে অ্যাপসের আওতায় আনা হবে। সোনার বাংলাদেশ গড়ার বড় অন্তরায় ইভ টিজিং, মাদক ও বাল্যবিবাহ। এসব বন্ধ করা গেলে সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথ সুগম হবে।
ইউএনও মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, এই অ্যাপসে তথ্য দিলে তথ্যদাতার পরিচয় প্রকাশ হবে না। অ্যাপসের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসির কাছে সরাসরি তথ্য চলে যাবে। প্রাথমিকভাবে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এই অ্যাপসের আওতায় আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ূন কবীর খোন্দকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সালাম কবির, জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী ও হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ।