জীবাশ্ম জ্বালানি বাদ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে বাতাস, সৌরশক্তি ও পারমাণবিক জ্বালানির মতো কার্বনবিহীন উৎস থেকে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় যুক্তরাজ্য। চলতি বছর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে আজ শুক্রবার দেশটির ন্যাশনাল গ্রিডের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বর্তমানে দেশটিতে স্বল্প কার্বনবিশিষ্ট উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে ছাড়িয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়লাশক্তির জন্মভূমি বলে পরিচিত যুক্তরাজ্যও এখন চাইছে নবায়নযোগ্য শক্তি দিয়ে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে।
১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যেই বিশ্বের প্রথম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস হচ্ছে কয়লা। বৃদ্ধি পেতে থাকে কার্বন অর্থনীতির প্রতি নির্ভরশীলতা।
তবে গত সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য জানায়, ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে নিয়ে আসবে তারা। এই প্রথম জি-২০ প্ল্যাটফর্মে এমন অঙ্গীকার করল কোনো দেশ। জলবায়ু বিষয়ে একটি কঠিন লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইউরোপীয় নেতারাও এই সপ্তাহে আলোচনায় বসবেন। তবে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে সদস্যদেশগুলোর নিরঙ্কুশ সমর্থন পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
ন্যাশনাল গ্রিডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জন পেটিগ্রিউ বলেন, ‘এবি বিষয়ে গত ১০ বছরে যুক্তরাজ্য যে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি এনেছে, তার মানে আমরা এখন বলতে পারি, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে কার্বনবিহীন শক্তি বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।’ ন্যাশনাল গ্রিডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম পাঁচ মাসে অল্প কার্বনবিশিষ্ট শক্তি থেকে ৪৮ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি, যেমন কয়লা ও গ্যাস থেকে উৎপাদিত হয়েছে ৪৭ শতাংশ বিদ্যুৎ। বাকিটা বায়োম্যাস ও মজুত থেকে এসেছে।
এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ, বায়ুশক্তির সক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি। ২০১৯ সালের প্রথম পাঁচ মাসে মোট উৎপাদনের ৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বায়ুশক্তি থেকে, যা ২০০৯ সালে ছিল ১ শতাংশ।