২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চাঁদেও মিলবে ফোর-জি নেটওয়ার্ক

চাঁদে নিয়মিত যাতায়াতের সুবিধার জন্য লুনার বেজ তৈরির পরিকল্পনা করেছে নাসা
ছবি: নাসা

চাঁদে গিয়ে দুটো সেলফিই যদি পোস্ট করতে না পারি তো গিয়ে লাভ কী? মনে এমন প্রশ্ন জাগলে জানিয়ে রাখি, এবার চাঁদেও ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা চালুর কাজ করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দ্য টিপিং পয়েন্ট’ নামে প্রকল্পের আওতায় এ কাজে নাসা জোট বেঁধেছে ফিনল্যান্ডের টেলিযোগাযোগ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নকিয়ার সঙ্গে। নকিয়ার গবেষণা বিভাগ জানিয়েছে, ফোর-জি বা এলটিই প্রযুক্তি দিয়ে শুরু করে তারা এগিয়ে যাবে ফাইভ-জির দিকে।

চাঁদে নিয়মিত যাতায়াতের জন্য ২০২৮ সালের মধ্যে লুনার বেজ তৈরি করতে চায় নাসা। এ কাজে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার জন্য এক ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে।

উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে দূর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, রোবটিকস, নিরাপদে অবতরণ আর ফোর-জি নেটওয়ার্ক। ফোর-জি না থাকলে নভোচারীরা নৈশভোজে বসে ফেসবুকে খাবারের ছবি পোস্ট করবেন কীভাবে?

বর্তমানে মহাকাশ থেকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন নভোচারীরা। নাসা বলছে, ফোর-জি হয়তো বেতার তরঙ্গের চেয়ে যোগাযোগের আরও নির্ভরযোগ্য সমাধান দেবে। আর পৃথিবীর মতোই ফোর-জিকে একপর্যায়ে গিয়ে ফাইভ-জিতে উন্নীত করা হবে।

চাঁদে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য নকিয়ার বেল ল্যাব পাচ্ছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইনটুইটিভ মেশিনসের সঙ্গে কাজ করবে তারা।

কেউ কেউ তো বলছেন, পৃথিবীর চেয়ে চাঁদেই ভালো কাজ করবে ফোর-জি। কারণ, ফোর-জি তরঙ্গের জন্য বাধা হিসেবে গাছ, ভবন কিংবা টিভি তরঙ্গ নেই ওখানে।

চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য সেলুলার নেটওয়ার্ক বিশেষভাবে নকশা করা হবে। চরম তাপমাত্রা, তেজস্ক্রিয়তা ও মহাকাশের বায়ুহীন পরিবেশের কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখা হচ্ছে। রকেট উড্ডয়ন বা অবতরণের সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। সে সমস্যা এড়াতেও কাজ করছেন গবেষকেরা।

বেল ল্যাবসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নভোচারীরা মূলত তথ্য আদানপ্রদান, চাঁদে চলাচলের জন্য রোভার নিয়ন্ত্রণ, পথনির্দেশ এবং পৃথিবীতে সরাসরি হাই ডেফিনেশন ভিডিও সম্প্রচারের জন্য তারহীন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন।

পৃথিবীপৃষ্ঠে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সচল রাখতে বিশাল টাওয়ারের সঙ্গে বিশাল বিশাল যন্ত্রপাতি যুক্ত করতে হয়। তবে বেল ল্যাবস সেগুলো আকারে ছোট করে তৈরি করছে। এতে নেটওয়ার্কের প্রসার কম হবে ঠিক, তবে বিদ্যুৎও কম খরচ করছে। সবচেয়ে বড় কথা গাট্টি-বোঁচকা বেঁধে রকেটে তোলা সহজ হবে। সেই একই প্রযুক্তি অবশ্য পৃথিবীব্যাপী ফাইভ-জি সম্প্রসারণেও ব্যবহার করা হচ্ছে।