ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেস চ্যাপ্টার-৩, এপিসোড-২
ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেসের এই চ্যাপ্টারে ‘গার্বেজম্যান’ ফাহিম উদ্দিন শুভ কিছু রিফ্রেশিং পরামর্শ দিয়েছেন এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন কীভাবে একটা সামাজিক সমস্যার সমাধান থেকে নিজের ব্যবসা শুরু করা যায়। আজকের স্বপ্নবাজ ও সচেতন তরুণদের মনে আমাদের চারপাশের বিভিন্ন সমস্যার অনেক সমাধান আছে এবং তাঁরা এ চিন্তাও করেন যে কীভাবে সমস্যার সমাধান থেকেই নিজের একটা পেশা শুরু করা যায়। তাঁদের কিছুটা সহায়তা করতেই ক্লেমনের একদমই রিফ্রেশিং উদ্যোগ স্কুল অব ফ্রেশনেস।
গত পর্বে ফাহিম উদ্দিন শুভ জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর গার্বেজম্যানের আইডিয়া শুরু হয়েছিল, পেছনের ভাবনা কী ছিল বা চারপাশের সমস্যা কী ছিল, যার সমাধান হিসেবে গার্বেজম্যানের জন্ম। এই পর্বে ফাহিম জানিয়েছেন, একটা রিফ্রেশিং আইডিয়া থেকে কীভাবে বাস্তবে বিজনেস স্টার্ট করা যায়, তার জন্য কী কী করতে হয়।
ফাহিম তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন, ‘আমি যখন আমার আইডিয়া নিয়ে প্রথম কথা বলতাম মানুষের সঙ্গে যে ময়লা নিয়ে কাজ করব, ময়লা থেকেই নতুন কিছু বানাব, তখন মানুষ আমাকে পাগল ভাবত। আমার পরিবার, বন্ধু, পরিচিত, সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তায় ছিল। কিন্তু এই সবকিছু উপেক্ষা করে আমি আমার আইডিয়া নিয়েই লেগে ছিলাম।’
কীভাবে শুরু হলো প্রথম ধাপ? ফাহিম বলেন, ‘আমি প্রথমে ইউটিউবে অনেক কন্টেন্ট দেখতাম যে ময়লা কীভাবে রিসাইকেল করা যায়, কীভাবে পচনশীল আবর্জনা থেকে জৈব সার বানানো যায়। প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নিতাম অন্যদের কাজ দেখে। কারণ, যেকোনো রিফ্রেশিং কিছু করতে গেলে প্রথমে সেই কাজটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।
যে প্রোডাক্ট এখনো বানানো হয়নি, তার আইডিয়া সম্পর্কে মানুষকে বোঝানো খুব কঠিন। ফাহিম কীভাবে এই ধাপ অতিক্রম করেছিলেন জানতে চাইলে বলেন, একটা রিফ্রেশিং আইডিয়া নিয়ে পাওয়ারপয়েন্টে প্রেজেন্টেশন বানানোর চেয়ে একটা প্রোটোটাইপ বানিয়ে মানুষকে দেখালে অনেক বেশি আস্থা অর্জন করা যায়। তাই আমি আমার বাড়ির ছাদে একটা প্রোটোটাইপ বানিয়ে ফেলেছিলাম। আমাদের বাড়ির ১২টা ফ্যামিলি থেকেই আমরা ময়লা আলাদা বালতিতে করে সংগ্রহ করতাম। এরপরে ধরন অনুযায়ী আবর্জনাগুলোকে প্রসেস করতাম।
প্রোটোটাইপ তো বানানো হয়ে গেল। এরপরে এটা নিয়ে বিজনেস কীভাবে করব, রেভিনিউ কীভাবে জেনারেট করব? ফাহিম জানান, প্রোটোটাইপ বানানোর পরে আমরা বিভিন্ন বিজনেস কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করা শুরু করলাম। এতে আমার প্রজেক্ট সম্পর্কে যেমন মানুষ জানবে, তেমনি আমরাও অনেক কিছু শিখতে পারব। এ ছাড়া ফান্ডিংয়ের একটা সাহায্য এখান থেকে পাওয়া যাবে। এভাবেই বিভিন্ন বিজনেস কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে আমি শিখতে পেরেছি কীভাবে বিজনেস মডেল ক্যানভাস বানাতে হয়, কীভাবে ক্লায়েন্টকে অ্যাপ্রোচ করতে হয়, কীভাবে ইনভেস্টরদের অ্যাপ্রোচ করতে হয়। আর এভাবেই বিভিন্ন এক্সপার্টের সঙ্গে একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে যায়, যা সব সময় বিজনেসে হেল্প করে।
তরুণদের উদ্দেশ্য করে ফাহিম বলেন, তরুণদের উচিত যাঁর যাঁর সেক্টরে কাজ করতে হলে এ রকম বিজনেস কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করতে হবে, নিজের রিফ্রেশিং আইডিয়াকে আরও অনেক বেশি রিফ্রেশিংভাবে প্রোটোটাইপ বানিয়ে প্রেজেন্ট করতে হবে ক্লায়েন্টের কাছে। ইনভেস্টর বা ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে নিজের কাজের এর প্রোফাইল মেইল করা যেতে পারে। একসময় পজিটিভ রিপ্লাই আসবেই। ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে।
এরপরেই কি ব্যবসায়ে রেভিনিউ জেনারেশন হবে? এরপরে কী করা উচিত? এই সব প্রশ্নের উত্তর এবং আরও রিফ্রেশিং অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ জানতে দেখতে হবে ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেসের পর্বগুলো। চোখ রাখতে হবে ক্লেমন এবং প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে।
অনুলিখন: ভক্ত সাগর ঊর্মি নিতু।