ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেস-চ্যাপ্টার-০৩, এপিসোড-০৩
‘ময়লা তো গন্ধ, ফেলে দেওয়ার জিনিস। এটা নিয়ে কী ব্যবসা করবা? পাগল নাকি?’ এ রকম নানান কথা শুনতে শুনতেই গার্বেজম্যান–এর পথচলা শুরু হয়েছিল। এমন অদ্ভুত রিফ্রেশিং আইডিয়া থেকেই কীভাবে টাকা উপার্জন করা যায়, সেটা নিয়েই ক্লেমন স্কুল অব ফ্রেশনেস-এর এই চ্যাপ্টারে কথা বলেছেন গার্বেজম্যান–এর সিইও ফাহিম উদ্দিন শুভ।
গত পর্বে তরুণদের উদ্দেশে ফাহিমের পরামর্শ ছিল, আইডিয়া থেকে একটি প্রোডাক্ট প্রোটোটাইপ বানিয়ে ক্লায়েন্টদের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে যে এই প্রোটোটাইপ বানাতেও তো টাকা বা মূলধন দরকার। এই ফান্ডিংটা কীভাবে আসবে? ফাহিম তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন তাঁর প্রোটোটাইপ–এর ফান্ডিং হয়েছিল কাছের এক বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবার আবর্জনা সংগ্রহ করা এবং সেটাকে প্রসেস করাটাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এ রকম অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে চলে আসে। তখন কি থেমে যেতে হবে?
তরুণদের উদ্দেশে ফাহিম উদ্দিনের পরামর্শ, চ্যালেঞ্জ সামনে এলে কোনোভাবেই থেমে যাওয়া যাবে না। বরং নিজের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে। আর সে জন্য দরকার হবে সাহস। সাহস এমনি এমনি আসবে না, তার জন্য দরকার হয় অনুপ্রেরণা। আর এ অনুপ্রেরণা আসবে আশপাশের ভালো ও রিফ্রেশিং কাজ দেখে।
ক্লেমন সব সময় এমন রিফ্রেশিং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে সমর্থন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ক্লেমনের রিফ্রেশিং ক্যাম্পেইন ‘ইচ্ছের হাত বাড়াই’। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কোরবানির সময় যে বর্জ্য হয় তার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। এ ছাড়া ‘ক্লেমন বীচ ক্লিন আপ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের সমুদ্রসৈকতে যে আবর্জনা হয়, তা পরিষ্কার করা হয়। ক্লেমনের এসব উদ্যোগ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।
অনুপ্রেরণার পাশাপাশি নিজের কাজ সম্পর্কে টেকনিক্যাল জ্ঞান দরকার হয়। তার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখা যায়, গুগল করে বা অনলাইনে অনেক রকম টিউটরিয়াল পাওয়া যায় সেগুলো দেখে দক্ষতা বাড়ানো যায়। ফাহিম তরুণদের আহ্বান জানান এ রকম রিফ্রেশিং আইডিয়া, যা সামাজিক কোনো সমস্যার সমাধান করে, তা লিখে পাঠাতে ক্লেমনের ফেসবুক পেজে। সামনের এপিসোড দেখতে এবং সতেজ আপডেট পেতে চোখ রাখতে হবে ক্লেমন এবং প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে।
অনুলিখন: ভক্ত সাগর ঊর্মি নিতু