ক্যামেরার অনুষঙ্গ
ডিএসএলআর, মিররলেস ক্যামেরা বা অ্যাকশন ক্যামই হোক, ছবি তোলার শখ নিয়মিত চালিয়ে নেওয়ার খরচ দিন দিন বেড়েই চলছে। সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন নয় বরং আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের সংখ্যা বাড়ছে নিয়মিত। একটি কেনার পর মনে হয় আরও একটা কিনলে ভালো হয়। আবার কিছু সরঞ্জাম রয়েছে যেগুলো অনেক ক্ষেত্রে আবশ্যিকই বলা যেতে পারে।
ক্যামেরা ব্যাগ
ক্যামেরা যে ধরনেরই হোক না কেন, সঙ্গে একটি ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত। আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম বেশি হলে ক্যামেরার উপযোগী ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য সাধারণ ব্যাগে বহন করার উপযোগী কিছুটা ছোট আকারের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশে তৈরি একেবারে ছোট আকারের ব্যাগগুলোর দাম শুরু হয় ৫০০ টাকা থেকে। আকার ও মানের ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধিরিত হয়ে থাকে।
ক্যামেরা রাখার ডেসিকেটর
প্রত্যেক ক্যামেরা ব্যবহারকারীরই উচিত ডেসিকেটর (বায়ুনিরোধক ড্রয়ার) ব্যবহার করা। ক্যামেরা সরঞ্জামের দোকান এবং কেমিক্যাল যন্ত্রাংশের দোকান থেকে সাধারণ ডেসিকেটর কেনা যাবে। আয়তনের ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। সঙ্গে সিলিকা জেল ব্যবহার করতে হবে। ভালো মানের ইলেকট্রনিক আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত ড্রাই ক্যাবিনেটের দাম শুরু ৭ হাজার টাকা থেকে। সব সময় কিনতে হবে এমন নয়, বড় প্লাস্টিকের বক্স ও সিলিকা জেল ব্যবহার করে কম খরচে নিজেরাই তৈরি করে নেওয়া যাবে।
ট্রাইপড
ছবি তোলা ও শেখার পেছনে নিয়মিত সময় ব্যয় করতে আগ্রহী হলে সঙ্গে ট্রাইপড কেনা যেতে পারে। ট্রাইপড ছবি তোলার ক্ষেত্রে কীভাবে সহায়ক হতে পারে এবং এটি ব্যবহার করে যে বিশেষ ধরনের ছবি তোলা যায়, সেগুলোও শেখা উচিত। একেবারে কম দামের ট্রাইপড পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। সাধারণ মানের ট্রাইপডগুলোর ক্ষেত্রে কিছুটা ভারী ও শক্ত কাঠামোর হওয়া উচিত।
ফ্ল্যাশ
ইনডোর বা ঘরের ভেতর যদি নিয়মিত ছবি তোলা হয়, তবে ক্যামেরা কিটে একটি ফ্ল্যাশ সংযোজন করা উচিত। ব্র্যান্ড ভেদে দামের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে। সাধারণত ম্যানুয়াল ফ্ল্যাশের দাম কিছুটা কম। যেমন Yongnuo ব্র্যান্ডের ম্যানুয়াল ফ্ল্যশের দাম ৪ হাজার ৪০০ টাকা। একাধিক ফ্ল্যাশ কেনা হলে রিমোট ট্রান্সমিটার প্রয়োজন হতে পারে। এগুলোর দাম ২ হাজার টাকা থেকে শুরু। ক্যানন, নাইকন বা বড় ব্র্যান্ডের সব যন্ত্রাংশই অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে বেশি হয়ে থাকে।
ব্যাটারি গ্রিপ
দীর্ঘ সময় ছবি তোলেন যাঁরা, তাঁরা অতিরিক্ত হিসেবে ব্যাটারি গ্রিপ ব্যবহার করতে পারেন। ৫ হাজার টাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের গ্রিপ পাওয়া যায়।
লেন্স ফিল্টার
ক্যামেরা লেন্স ধুলাবালি থেকে মুক্ত রাখার জন্য ইউভি ফিল্টার ব্যবহার করেন অনেকে। ৫০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফিল্টার পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ধরনের লেন্স ফিল্টার পাওয়া যায়। বিভিন্ন মানের এনডি ফিল্টার ও পোলারাইজার ফিল্টার ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের ছবি তোলা যায়।
ক্যামেরা এবং আনুষঙ্গিক যে সরঞ্জামই কেনা হোক খেয়াল রাখা উচিত সেগুলো কেনা প্রয়োজন কিনা। প্রথমেই অনেকে ক্যামেরা–সংক্রান্ত সবকিছু শেখা শুরু করতে চান। তবে উচিত হবে প্রয়োজন বুঝে নতুন নতুন সরঞ্জাম কেনা। ঢাকার বসুন্ধরা শপিং সেন্টার এবং পল্টনে ক্যামেরার আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের বেশ কিছু দোকান রয়েছে।