কর্মীদের ঘরে বসে কাজের দক্ষতায় মুগ্ধ টিম কুক
কর্মীদের ঘরে বসে বা দূর থেকে কাজ করার দক্ষতা দেখে অভিভূত মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক। তিনি বলছেন, করোনা মহামারির পরও কাজের এই নতুন ধারা টিকে থাকবে।
অনলাইনে চলছে ‘দ্য আটলান্টিক ফেস্টিভ্যাল’। আয়োজনটির প্রথম অধিবেশনে গতকাল সোমবার টিম কুক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ কর্মী অফিসের বাইরে থেকে কাজ করার পরও নতুন অ্যাপল ওয়াচ, আইপ্যাডসহ অ্যাপলের অন্যান্য পণ্য ঠিক সময়েই বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, মহামারির পরও কাজের আগের নিয়মে অ্যাপল ফিরে যাবে না বলে মনে করেন টিম কুক। কারণ হিসেবে বলেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে এমন কিছু কাজ আছে, যা অনলাইনে করা বেশি সুবিধাজনক।
অন্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্বাহীরা অবশ্য টিম কুকের এই ধারণার সঙ্গে একমত নন। নেটফ্লিক্স ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিড হেসটিংস সম্প্রতি অফিসের বাইরে থেকে কাজকে নেতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। জেপি মরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জেমি ডাইমনের সতর্কবার্তা ছিল, কর্মীরা যদি দ্রুত অফিসে ফিরে না আসেন, তবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
অবশ্য টিম কুকও অফিসে গিয়ে কাজ করার বিপক্ষে নন। তিনি বলেছেন, কর্মদিবসের নানা সময়ে তিনি অফিসে যান। অফিসে উপস্থিত থেকে আর দূর থেকে কাজ করা এক নয় বলেই তিনি মনে করেন। বিশেষ করে অনির্ধারিত আলোচনাগুলোর মাধ্যমে সৃজনশীল ধারণা বেরিয়ে আসে বলে উল্লেখ করেছেন কুক।
অ্যাপলের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মী অফিসে কাজ শুরু করেছেন এবং বাকি কর্মীদের অধিকাংশ আগামী বছরের কোনো এক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির সিলিকন ভ্যালির কার্যালয়ে ফিরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন কুক।
আলোচনার একপর্যায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়। উত্তরে টিম কুক বলেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ নীতিমালায়, রাজনীতিতে নয়।
সবশেষে আরেকটি অম্লমধুর প্রশ্ন টিম কুককে করা হয়—নিজেকে আর কত দিন তিনি অ্যাপলের কর্ণধার হিসেবে দেখতে চান। তার উত্তর, ‘দেখা যাক। একসময় আমরা নিশ্চয়ই পরিবর্তন আনব।’