করোনায় আশার আলো অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষামূলক ওষুধ
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের তৈরি একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু ঠেকানোর কাজে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম ওষুধটি প্রয়োগে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর হওয়া, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শন জ্যাকজনের নেতৃত্বে একদল গবেষক নতুন অ্যান্টিক্লটিং বা রক্ত জমাটে প্রতিরোধী ওষুধ তৈরিতে কাজ করছেন, যা স্ট্রোক ঠেকাতে সক্ষম হবে।
গবেষক জ্যাকসন বলেন, ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া জটিল কোভিড-১৯ রোগীর চারজনের মধ্যে তিনজনের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা যায়, যাতে তাঁদের সেরে ওঠার হার কমে যায়। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট শ্বাসনালির রোগ হচ্ছে এই কোভিড-১৯। আমাদের তৈরি ওষুধ যদি এ রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবে হাজার হাজার মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর হওয়া বা মৃত্যু ঠেকানো যাবে।’
জ্যাকসন বলেন, ‘আমরা চাই, কোভিড-১৯ রোগীরা অন্তত নিজের টিস্যুর বাক্স নিজেই নিতে পারেন, তাঁদের ভেন্টিলেটরে যেন আটকে থাকতে না হয়।’
গবেষকেরা ইতিমধ্যে ৭২ জন রোগীর ক্ষেত্রে এ ওষুধ পরীক্ষা করেছেন, যা ওষুধ পরীক্ষার প্রথম ধাপ। গবেষকেরা এখন দ্রুত পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে চাইছেন, যাতে ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার দিকটা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে তাঁরা জটিল পরিস্থিতিতে থাকা কোভিড-১৯ রোগীর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করবেন।
জ্যাকসন বলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের সুরক্ষার জন্য নতুন এ অ্যান্টিক্লটিং ওষুধটি বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকদের ব্যবহারের জন্য আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এটি হাজারো জীবন রক্ষার জন্য সম্ভাবনাময় ওষুধ।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৭৬ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আর মারা গেছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩৮৫ জন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৪ জন আর সেখানে মারা গেছে ১০২ জন। দেশটির কিছু অঞ্চলে ভাইরাস নির্মূল হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।