এমবিএতে ইলন মাস্কের এত আপত্তি কেন
শুরুতেই বলে রাখা ভালো, ইলন মাস্ক কোনোভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিরোধী নন। স্নাতকে তাঁর নিজেরই দুটি বিষয়ে মেজর ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া থেকে পদার্থবিদ্যায় ব্যাচেলর অব সায়েন্স এবং অর্থনীতিতে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি নিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছেন, মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এমবিএ ডিগ্রি থাকা মানেই কেউ ভালো ব্যবস্থাপক বা নেতা নন। চলুন তাঁর ভাষাতেই দেখে নেওয়া যাক কী বলেছেন তিনি।
নেতৃত্বের পথ কখনো বিজনেস স্কুলের এমবিএর মধ্য দিয়ে যেতে পারে না, বরং কাজের মধ্যে থেকে ধাপে ধাপে এগোনো উচিত। অনেকেই উঁচু দরের এমবিএ স্কুল থেকে ডিগ্রি নিয়ে একলাফে নেতৃস্থানীয় পদে যায়। তবে গিয়ে দেখে, কাজটা কীভাবে করতে হবে, তা-ই জানা নেই। তারা হয়তো পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়ায় ভালো হতে পারে, হয়তো আইডিয়া ভালো উপস্থাপন করতে পারে, তবে তারা জানে না, আসল কাজটা কীভাবে করতে হয়। তারা কাজ করে এগোনোর চেয়ে একলাফে এগোতে চায়। ভালো একটি পণ্য তৈরিতে কী দরকার, সে ব্যাপারে তাদের ধারণা নেই।
ইলন মাস্ক কিন্তু একা নন, উদ্যোক্তাদের অনেকেই এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে একমত। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার কথা বলা যেতে পারে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এমবিএ ডিগ্রি আছে কিংবা নিতে চান, ছোট শহরের সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে এমন মানুষ খুব কম।
এদিকে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনার অধ্যাপক হেনরি মিন্টজবার্গ বলেছেন, ভুল মানুষদের ভুল উপায়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমবিএ।
আরেকটি ব্যাপার হলো, বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করলেও দিন শেষে ‘রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট’ ঋণাত্মক হতে পারে। কারণ, এমবিএ ডিগ্রি অর্জনে যে অর্থ ও সময় বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তা যদি নিজের প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোয়, এমনকি নতুন কোনো ভাষা শেখায় ব্যয় করা হয়, তবে লাভসহ মূলধন উঠে আসার প্রবণতা বেশি।
আবার এ-ও তো ঠিক যে এমবিএ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় অনেক দক্ষতা শেখানো হয়। যাহোক, চলুন দেখে নেওয়া যাক পুরো সাক্ষাৎকার: