নেদারল্যান্ডসে গত এপ্রিলে হয়ে গেল গ্ল্যাম উইকি সম্মেলন। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স বাংলাদেশ লিড নাসির খান। তিনি লিখেছেন সম্মেলনটির অভিজ্ঞতা।
উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্যালারি, লাইব্রেরি, জাদুঘর এবং আর্কাইভের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছে। পেশাদার এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই মুক্ত বিশ্বকোষটি সমৃদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছেন। গ্যালারি, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্কাইভ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘জিএলএএম’ বা গ্ল্যাম।
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে গত ১০ থেকে ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বার্ষিক ‘জিএলএএম উইকি সম্মেলন ২০১৫’। তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৪০টি অধিবেশনে ছিল নানা ধরনের উপস্থাপনা ও আলোচনা। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় উইকিমিডিয়া নেদারল্যান্ডস এই সম্মেলনটি আয়োজন করছে। ৩৫টি দেশ থেকে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেন। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় অনেক শিক্ষার্থী ও পেশাদার ব্যক্তিত্বও এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
এবারের গ্ল্যাম-উইকি সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাঁদের প্রকল্প উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি নতুন গ্ল্যাম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কীভাবে নতুন নতুন প্রকল্প শুরু করা যায় সেসব বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানেরই তাদের সংরক্ষিত তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়তো তথ্যগুলোর ডিজিটাল সংস্করণ পাওয়া যায় না, সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের জন্যও সহায়তা করা হয় গ্ল্যাম-উইকির মাধ্যমে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রকল্পের প্রতিটি ধাপের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনের মূল ওয়েবসাইট (https://nl. wikimedia.org/wiki/GLAM-WIKI_ 2015) থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।