ইউরোপে চীনা স্মার্টফোনের জমজমাট বাজার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ের দ্বন্দ্বের বিষয়টি চীনা স্মার্টফোনের বাজার দখলে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। ইউরোপের বাজারে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে চীনা ফোনের। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যালিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইউরোপের বাজারে হুয়াওয়ে, শাওমি, ওয়ানপ্লাসের মতো ব্র্যান্ডগুলো দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
২০১৮ সালে ইউরোপের বাজারে যত ফোন বিক্রি হয়েছে, এর ৩২ শতাংশই চীনা স্মার্টফোন নির্মাতাদের তৈরি। এর মধ্যে হুয়াওয়ে ২৩ শতাংশ বাজার দখল করেছে।
ক্যানালিসের বাজার বিশ্লেষক বেন শ্যান্টন বলেছেন, গত বছরের শেষদিকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হুয়াওয়ের সম্পর্ক খারাপ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরার চেষ্টায় বাধা আসতে থাকে। তাদের জন্য এটা শাপে বর হয়েছে। ইউরোপের বাজারে আরও ভালো করেছে হুয়াওয়ে।
শ্যান্টন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ইউরোপের গ্রাহকেরা সুফল পেয়েছেন। তাঁদের কারণে চীনা কোম্পানিগুলো এখন ইউরোপে বিনিয়োগ শুরু করেছে। যদিও ইউরোপের বাজার যথেষ্ট পূর্ণ এবং মানুষ ফোন পরিবর্তনে বেশি সময় নিচ্ছে। এরপরও চীনা ফোনগুলোর জন্য দারুণ সুযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে দামের দিক থেকে প্রতিযোগিতার কারণে শাওমি ও হুয়াওয়ে অনেকটাই অন্য ব্র্যান্ডগুলোকে ধাক্কা দিতে পারবে।
বৈশ্বিক পর্যায়ে স্মার্টফোনের বাজার সংকুচিত হলেও ইউরোপের বাজারে এখনো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি বড় ব্র্যান্ড সেখানে ধাক্কা খেয়েছে। গত বছরে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষে থাকা স্যামসাং। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তাদের ফোন বিক্রি ১০ শতাংশ কমেছে। ধাক্কা খেয়েছে অ্যাপলও। আইফোন বিক্রি কমেছে ৬ শতাংশ।
ক্যানালিসের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরে ইউরোপের বাজারে অ্যাপল ও হুয়াওয়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হয়েছে। সেখানে অ্যাপল কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। সেখানে আইফোন বাজারে এসেছে ৪ কোটি ২৮ লাখ ইউনিট আর হুয়াওয়ের ফোন বাজারে এসেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ইউনিট। নতুন আইফোন বাজারে আসার আগ পর্যন্ত এ বছরের শুরুতে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসবে হুয়াওয়ে।