আইসিপিসিতে বাংলাদেশের ২৫ বছর

১৯৯৭ সালের কথা। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক একটি সম্মেলনে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান। সেখানে তিনি তাইওয়ানি বংশোদ্ভূত মার্কিন অধ্যাপক সি জে হোয়াংয়ের সঙ্গে পরিচিত হন। অধ্যাপক হোয়াং তাঁকে একটি প্রচারপত্র দেন, যেখানে আন্তর্জাতিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার কথা লেখা ছিল। দেশে ফিরে তিনি তাঁর সহকর্মী কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিইসি) বিভাগের অধ্যাপক আবুল এল হককে প্রচারপত্রটি দেন।

এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদপূর্ণ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ‘এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপিসি)’–এর প্রচারপত্র। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এর আয়োজন করা হয়। বছরজুড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেসবে বিজয়ী দলগুলো চূড়ান্ত পর্বে (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) প্রতিযোগিতার সুযোগ পায়।

প্রচারপত্রটি হাতে পেয়ে আবুল এল হক উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে আইসিপিসি এশিয়া অঞ্চলের ঢাকা পর্বের প্রতিযোগিতা ১৯৯৭ সালের ১৮ নভেম্বর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিযোগিতায় ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি দল অংশগ্রহণ করে। সে সময় পুরো এশিয়ায় তাইপে, সাংহাইয়ের পর তৃতীয় সাইট হিসেবে ঢাকা আয়োজক হিসেবে যুক্ত হয়। আইসিপিসিতে বাংলাদেশের যুক্ততার ২৫ বছর হলো এবার।

আর এ বছরের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন হবে ঢাকায়। আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আছে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়। আইসিপিসিতে বাংলাদেশের জন্য এটি বড় এক অর্জন।

এ বছর ২০২২ সালে আইসিপিসি ঢাকা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ২৫ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে,­ শিগগিরই বসবে ২৪তম আসর। বিজয়ীরা সুযোগ পাবেন আগামী বছরের আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালে। যেখানে ১৫০–এর বেশি দল অংশ নেবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সিইসি বিভাগ, ইউএপি