অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর পদ যে কারণে ছেড়েছিলেন জেফ বেজোস

জেফ বেজোসছবি: রয়টার্স

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন ডটকম। ১৯৯৪ সালে অনলাইনে বই বিক্রি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে ই-কমার্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, অনলাইন বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল স্ট্রিমিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ মহাকাশ পর্যটন নিয়েও কাজ করছে অ্যামাজন। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তিনি প্রায় ২৭ বছর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যামাজনের। কিন্তু ২০২১ সালে হঠাৎ করেই স্বেচ্ছায় অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি, যা নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে রয়েছে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেফ বেজোস জানিয়েছেন, অ্যামাজনের মালিকানাধীন মহাকাশ পর্যটন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের উন্নয়নে সময় দেওয়ার জন্যই তিনি পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

জনপ্রিয় ইউটিউবার টিম ডডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেফ বেজোস বলেন, ‘অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক কারণ ছিল ব্লু অরিজিনে মনোযোগ দেওয়া। আমি এখনো অ্যামাজনের কাজে যুক্ত আছি। বেশির ভাগ মনোযোগ দিচ্ছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে। যদিও ব্লু অরিজিনেই আমি বেশি সময় দিয়ে থাকি।’

জেফ বেজোস মহাকাশভ্রমণকে আরও সাশ্রয়ী ও সবার জন্য উন্মুক্ত করার জন্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করছি। চাঁদে উড়ে যাওয়ার জন্য খরচ কমাতে কাজ করছি।’ ব্লু অরিজিনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণের খরচ কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠান করেন জেফ বেজোস। নিজস্ব রকেট, মহাকাশযান, স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন মহাকাশবিষয়ক যন্ত্র উদ্ভাবন ও উৎপাদনে কাজ করছে ব্লু অরিজিন। ২০০৬ সালে ব্লু অরিজিন প্রথম সফলভাবে মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ করে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১১ হাজার কর্মী কাজ করছেন।

সূত্র: এনডিটিভি