সফটএক্সপোর উদ্বোধনকালে শিরীন শারমিন চৌধুরী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সফটওয়্যারের বিকল্প নেই
এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কাজেই আমাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সফটওয়্যারের বিকল্প নেই। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’ মেলার উদ্বোধন করে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। জাতীয় সংসদে যত আলোচনা হয়, তা সব সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এটি বেসিসের সদস্যরাই তৈরি করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের ভালো মানের সফটওয়্যারও তৈরি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তির এগিয়ে চলা শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। সরকার প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। সফটওয়্যারের কপিরাইটের ক্ষেত্রে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে না পারলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলোর সুফল দেশের জনগণ আজ পাচ্ছে। দেশের ৮ হাজার ৩৬৩টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। বর্তমান ১৩ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশেই বর্তমানে স্মার্ট চিপ তৈরি হচ্ছে। সরকার ব্যবসা করতে চায় না, কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে চায়।
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এবারের এক্সপোর মাধ্যমে সফটওয়্যার খাতকে একটি ঝাঁকুনি দিতে চাই। একই সঙ্গে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সফটওয়্যারে আমাদের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতেও চাই। সরকার সহযোগিতা না করলে সফটওয়ার খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বেসিস সদস্যরা যেমন কাজ করেছে, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্যও কাজ করবে।’
‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগান নিয়ে চার দিনের বেসিস সফটএক্সপো চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় ২০৪টি প্রতিষ্ঠান সফওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদর্শন করছে। মেলার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা, উদ্ভাবন এবং নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ১৮টি গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ও অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় প্রতিদিনই থাকছে একাধিক সেমিনার। আজ ‘পলিসি ডায়ালগ: হাউ আইসিটি সেক্টর ক্যান সেভ ফরেইন কারেন্সি’, ‘গেম পাবলিশিং: অ্যান আনট্যাপড পটেনশিয়াল ফর বাংলাদেশ’, ‘সফটওয়্যার কিউএ অ্যান্ড টেস্টিং: প্রসপেক্টস ইন আউটসোর্সিং অ্যান্ড অপশোরিং’ এবং ‘ইমপ্যাক্ট এরিয়াস অব ফোরআইআর ইন এসডিজিস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ে সেমিনার রয়েছে।
বেসিস সফটএক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা বেসিস সফটএক্সপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (https://softexpo.com.bd/) থেকে বিনা মূল্যে নিবন্ধন করে প্রদর্শনীতে যেতে পারবেন।