বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হলো সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনের প্রতিযোগিতা

ভিএলএসআইথন ২.০ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায়।ছবি: ঊল্কাসেমি

জমকালো আয়োজনে শেষ হলো ভিএলএসআই প্রতিযোগিতা ‘ভিএলএসআইথন ২.০’। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমকালো এক আয়োজনে বিজয়ী ছয়টি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। ভেরি-লার্জ-স্কেল ইন্টিগ্রেশন (ভিএলএসআই) হলো লাখ লাখ বা কোটি কোটি এমওএস ট্রানজিস্টর একক চিপে সমন্বিত করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি তৈরি করার প্রযুক্তি। দেশের সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমি আয়োজিত ভিএলএসআইথন ২.০-এ প্রতিযোগীদের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন করতে হয়েছে।

২০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৩৫ জন প্রতিযোগী ৮২টি দলে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আরটিএল (রেজিস্টার ট্রান্সফার লেভেল) ও অ্যানালগ ডিজাইন—এই দুটি শ্রেণিতে ভিএলএসআইথন ২.০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন প্রতিযোগীরা। চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিটি শ্রেণি থেকে তিনটি শীর্ষ দল পুরস্কার পায়।

আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রিনকস প্রকৌশল (ইইই) বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (আই আইইইই) স্টুডেন্ট শাখা এ প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে ছিল। আরটিএল ডিজাইন শ্রেণিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ‘ডিজিটাল ডায়নামস’ দল। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘আসকি’ও রুয়টের ‘থ্রিইডিয়টস’ দল। অ্যানালগ ডিজাইন শ্রেণিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুয়েটের ‘হেলিকপ্টার’ দল। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বুয়েটের ‘এক্সপোনেনশলস’ ও ‘আসকি’ দল। বিজয়ী দলগুলো মোট তিন লাখ টাকা মূল্যমানের পুরস্কার পেয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আশরাফুল হক বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।’

অনুষ্ঠানে উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘ভিএলএসআইথন ২.০-এ আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা ও দক্ষতা দেখিয়েছেন। প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), এই সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর নির্ভরশীল। সক্ষমতার এক নতুন রূপ সেমিকন্ডাক্টর। বর্তমানে বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার ৫০ হাজার কোটি ডলারের। ২০৩০ সালে মধ্যে যা ফুলেফেঁপে দ্বিগুণ আকার নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, ২০৩০ সালের মধ্যে এই শিল্পকে শত শত কোটি ডলারের বাজারে পরিণত করা সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি সঠিক সহায়তা পেলে এই খাতের আয় ১০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে।’