এল পোকেমন গো

অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন—দুই ঘরানার স্মার্টফোনে খেলার জন্য এল ‘পোকেমন গো’ গেম। এসেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয়।

ভিয়েতনামে হানয়ের রাস্তায় স্মার্টফোনে একজনকে পোকেমন গো খেলতে দেখা যাচ্ছেরয়টার্স

৬ জুলাই ২০১৬
স্মার্টফোনের জন্য এল পোকেমন গো
অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন—দুই ঘরানার স্মার্টফোনে খেলার জন্য এল ‘পোকেমন গো’ গেম। এসেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয়। প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ১ কোটি বার নামানো (ডাউনলোড) হয় পোকেমন গো। এটি হয়ে ওঠে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অ্যাপ।
পোকেমন গো ব্যবহারকারীর ভৌগোলিক অবস্থানভিত্তিক অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) বা প্রতিস্থাপিত বাস্তবতা প্রযুক্তির মোবাইল গেম। অর্থাৎ এই গেমে বাস্তব দৃশ্যের সঙ্গে ত্রিমাত্রিক ভার্চ্যুয়াল চরিত্রের মিশেল দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়ানটেক জাপানের ভিডিও গেম নির্মাতা নিনটেনডো ও জাপানি প্রতিষ্ঠান দ্য পক মন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে পোকেমন প্রকাশ করে। ভৌগোলিক অবস্থান নির্ধারণ করতে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) আছে এমন মুঠোফোন প্রয়োজন পোকেমন গো খেলার জন্য। এই গেমে ভার্চ্যুয়াল প্রাণী ধরতে হয়, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, ব্যায়াম করিয়ে শত্রু অন্য ভার্চ্যুয়াল প্রাণীদের সঙ্গে যুদ্ধও করতে হয়। গেমটি বিনা মূল্যে খেলা যায়, তবে বিশেষ শক্তি বা পোকেমন কিনতে চাইলে কেনা যায়। ২০১৬ সালে গেমটি প্রকাশ করা হয় ১৫০ প্রজাতির পোকেমন দিয়ে। এখন এতে রয়েছে সাত শতাধিক প্রজাতির পোকেমন।

পোকেমন ডটকম

পোকেমন গো প্রকাশিত হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। সমালোচকেরা এর ধারণার প্রশংসা করেন, তবে কারিগরি ত্রুটির সমালোচনা করেন। ২০১৬ সালে এটি বেশি ব্যবহৃত ও লাভজনক অ্যাপগুলোর অন্যতম। এই বছরের শেষে ৫০ কোটির বেশিবার পোকেমন গো ডাউনলোড করা হয় বিশ্বজুড়ে। এআর প্রযুক্তি জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে পোকেমন গো বড় ভূমিকা রেখেছে। মানুষের মধ্যে হাঁটার অভ্যাসও বাড়িয়েছে এটি। তবে বেশ কিছু দুর্ঘটনা, খেলতে খেলতে স্পর্শকাতর স্থাপনায় খেলোয়াড়ের ঢুকে পড়া ইত্যাদির কারণে সমালোচনাও কম হয়নি। নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কয়েকটি দেশ পোকেমন গো ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণও এনেছে। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ১০০ কোটির বেশি এই গেম ডাউনলোড করা হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬০০ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে এই গেম। এখনও গেমটি জনপ্রিয়। ২ জুলাই পর্যন্ত হিসাবে পোকেমন গো গেমের সক্রিয় খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৭ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ জন।

২০১৬ সালের ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে মুক্তি পায় পোকেমন গো। এরপর অন্যান্য দেশে গেমটি প্রকাশিত হয়। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় খেলার জন্য উন্মুক্ত হয় পোকেমন গো।

ওয়েবটিভি ছিল এমন। এটি যুক্ত হতো টেলিভিশনের সঙ্গে
উইকিপিডিয়া

৬ জুলাই ২০১৩
এমএসএন টিভি বন্ধের ঘোষণা দেয় মাইক্রোসফট
এমএসএন টিভি (সাবেক ওয়েবটিভি) ছিল টেলিভিশনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে ওয়েবসাইট দেখার একটি যন্ত্র। টিভির পর্দায় দেখা যেত ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ভিডিও, অনুষ্ঠান, ছবি ইত্যাদি। নকশাসহ মূল ওয়েবটিভি তৈরি করে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়েবটিভি নেটওয়ার্কস ইনকরপোরেটেড। ১৯৯৬ সালের জুলাইয়ে ওয়েবটিভির ঘোষণা আসে, আর বাজারে ছাড়া হয়ে একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাইক্রোসফট করপোরেশন এটি কিনে নেয়। ২০০১ সালের জুলাইয়ে ওয়েবটিভির নাম বদলে এমএসএন টিভি করা হয়। ওয়েবটিভির সঙ্গে মাইক্রোসফট হটমেইল ও এমএসএন সেবাও যুক্ত করে। প্রথম ওয়েবটিভি নেটওয়ার্ক চলত সোলারিস নেটওয়ার্ক ও টেলিফোন সংযোগ তারের মাধ্যমে। এমএসএন টিভি–২ চলতি পুরো নতুন ধারায়। এটি পুরোপুরি মাইক্রোসফটের আইআইএস (ইন্টারনেট ইনফরমেশন সার্ভিসেস) সার্ভারের ওপর ভিত্তি করে চালানো হতো।

এমএসএন টিভি বা ওয়েবটিভির ধারণার পুরো কৃতিত্ব দিতে হয় ওয়েবটিভির সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ পার্লম্যানকে। তিনি বলেছেন, ‘আমি সারাজীবন কাজ করেছি একটি ইন্টার–অ্যাকটিভ টেলিভিশন তৈরির জন্য। আমি সব সময়ই জানতাম সাধারণ মানুষের নাগালে কম্পিউটারকে আনার এটি একটি ভালো উপায়। পার্লম্যান ইন্টারনেট ও টেলিভিশনের যুগলবন্দী করে দেখিয়েছিলেন ওয়েবটিভির মাধ্যমে।

২০১৩ সালের ৬ জুলাই এমএসএন টিভি বন্ধ হয়ে যায়।

গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিয়েছিল আমেরিকা অনলাইন
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

৬ জুলাই ১৯৯৬
আমেরিকা অনলাইন জরিমানা দেয় গ্রাহকদের
মার্কিন ইন্টারনেট সংযোগদাতা আমেরিকা অনলাইন ইনকরপোরেটেড একটি আইনি লড়াইয়ে হেরে গ্রাহকদের জরিমানা দেয়। আমেরিকা অনলাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারনেটের মাসিক খরচের ব্যাপারে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। এ মামলায় আমেরিকা অনলাইনের কাছ থেকে গ্রাহকেরা ২ কোটি ২০ ডলার মূল্যমানের ‘ইন্টারনেট টাইম’ পেয়েছেন। এ ছাড়া গ্রাহকেরা নগদ অর্থও ফেরত পেয়েছিলেন আমেরিকা অনলাইনের কাছ থেকে।

সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ, উইকিপিডিয়া, রয়টার্স