প্রসাধন তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করছে প্রসাধনসামগ্রীছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসাধন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যামোরপ্যাসিফিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর সৌন্দর্য পরীক্ষাগার (বিউটিল্যাব) চালু করেছে। এখানে কাজ করছে রোবট। এ রোবট গ্রাহকের ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনসামগ্রী বাছাই করে এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে সবচেয়ে মানানসই লিপস্টিকের রং ঠিক করে দিতে পারে। এই ল্যাব থেকে সেবা পেতে ইতিমধ্যে অনেক গ্রাহক আগ্রহ দেখিয়েছেন।

উন ইউ জিন নামের ৩২ বছর বয়সী এক গ্রাহক বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব স্কিন টোন রয়েছে। সাধারণত তাঁরা কাউন্টারে থাকা বিভিন্ন পরিচিত প্রসাধনসামগ্রী বেছে নেন। নিজের ত্বক–সম্পর্কিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি এআই প্রতিবেদন জানার পর তিনি বলেন, নিজের ত্বক সম্পর্কে আরও তথ্য জানা এবং আগে-পরে নিজে দেখা খুব ভালো অভিজ্ঞতা।

এআই ব্যবহার করে ত্বকের তথ্য পাওয়ার পর একটি রোবট ফাউন্ডেশন মিশ্রণ তৈরি করে, যা স্কিন টোনের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়।

বর্তমানে অনেক প্রসাধন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রিতে এআই ব্যবহার করছে। অ্যামোরপ্যাসিফিক বলেছে, তারা ২০৫টি ভিন্ন ত্বকের ফাউন্ডেশন ও ঠোঁটের ৩৬৬টি ভিন্ন পণ্যের লিপস্টিক সুপারিশের জন্য এআই ব্যবহার করছে।

অ্যামোরপ্যাসিফিকের প্রসাধন পণ্য ব্যবসার উপদেষ্টা লি ইয়াং–জিন বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা সেবা খাতে অনেক ব্যক্তির ত্বকের তথ্য মূল্যায়ন করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে, তার পরিবর্তে আমরা ডিপ লার্নিং, মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করেছি।’ বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশেষজ্ঞদের তুলনায় এআই ব্যবহার করা হলে পণ্যের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।