নাসার নভোযান তৈরির কাজ পেল স্পেসএক্স

নাসার প্রতীকনাসা

২০৩০ সালে নিয়মিত দায়িত্ব শেষ করবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস। তারপর নতুন মহাকাশ স্টেশনে কাজ করবেন নভোচারীরা। তখন বর্তমানের স্টেশনটি সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ একটি নভোযান তৈরির কাজ করছে নাসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসার সেই নভোযান তৈরির কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছে স্পেসএক্স। স্পেসএক্স এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করবে, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে নিম্ন কক্ষপথে নিয়ে আসবে। নতুন যান তৈরির জন্য স্পেসএক্স নাসার কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার গ্রহণ করবে।

নতুন এই যানের নাম রাখা হয়েছে ইউএস ডিওরবিট। এই যান তৈরির জন্য ২০২৩ সালে প্রথম প্রস্তাব গ্রহণ করে নাসা। এটি অনেকটা নদী বা সমুদ্রে চলমান টাগবোটের মতো কাজ করবে। বড় বড় জাহাজকে যেমন টাগবোটের মাধ্যমে নদীর তীরে টেনে আনা হয়, এই যান তেমনই কাজ করবে।

নাসার সহযোগী প্রশাসক কেন বোওয়ারসক্স বলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউএস ডিওরবিট যানটি তৈরি করা হচ্ছে। নাসা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে আরও কার্যকর বৈজ্ঞানিক, পরীক্ষা পরিচালনা করতে চায়। সেই লক্ষ্য আরও আধুনিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরি করতে চায় মহাকাশ সংস্থা। বর্তমানের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিকে আর ছয় বছরের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে। স্পেসএক্স ইউএস ডিওরবিট যান তৈরি করবে, যা মহাকাশ স্টেশনকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচটি মহাকাশ সংস্থা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিচালনা করছে। কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও  রাশিয়ার স্টেট স্পেস করপোরেশন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিচালনা করেছে। স্পেস স্টেশনে হার্ডওয়্যার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করছে।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর মহাকাশে পাঠানো হয়। এই স্পেস স্টেশন ২০৩০ সাল পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। নতুন স্পেস স্টেশনকে জায়গা ছেড়ে দিতে নিরাপদে স্পেস স্টেশনকে সরিয়ে নিতে নতুন যানটি কাজ করবে।

সূত্র: নাসা