সিনেমার চরিত্রের নামে রাখা হলো নতুন তিন প্রজাতির মাকড়সার নাম
মাকড়সাকে অনেকে ভয় পেলেও মাকড়সা নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের কমতি নেই। এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার প্রজাতির মাকড়সার খোঁজ মিলেছে সারা বিশ্বে, যদিও এই সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বলে মনে করেন অনেকেই। এবার এ তালিকায় নতুন তিনটি প্রজাতির মাকড়সা যুক্ত হয়েছে। ব্রাজিলের এমিলিও গোয়েল্ডি পারেন্সে জাদুঘরের গবেষকেরা নতুন প্রজাতির মাকড়সাগুলোর সন্ধান পেয়েছেন। মাকড়সাগুলোর গড়ন জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিনির্ভর সিনেমা ও টেলিভিশন সিরিজ ‘স্টার ট্রেক’-এর খেয়াযানগুলোর মতো। আর তাই স্টার ট্রেকের জনপ্রিয় চরিত্র ক্রিক, স্পক আর ম্যাকয়-এর নামেই মাকড়সাগুলোর প্রজাতির নামকরণ করেছেন গবেষকেরা।
নতুন মাকড়সার প্রজাতি নিয়ে এক গবেষণাপত্র ইউরোপিয়ান জার্নাল অব টক্সোনমিতে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাপত্রের তথ্যমতে, ক্রিকের দেখা মিলেছে কোস্টারিকায়। স্পক ও ম্যাকয়ের অবস্থান মেক্সিকোতে। গবেষকেরা মাকড়সাগুলো দেখে প্রথমে চমকে যান। কারণ, মাকড়সাগুলোর পেটের গড়ন বেশ বড়। এই পেটের আকারের কারণেই সেগুলোকে স্টার ট্রেক সিরিজের খেয়াযানগুলোর মতো দেখায়। মাকড়সাগুলো মূলত রডেনব্যারিয়াস বংশের, রডেনব্যারিয়াস নামটিও দেওয়া হয়েছে স্টার ট্রেক সিরিজের নির্মাতা জিন রডেনব্যারিয়াসের নামে।
মাকড়সার নতুন প্রজাতির আবিষ্কারক দলের সদস্য জীববিজ্ঞানী আলেকজান্ডার সানচেজ রুইজ ও আলেকজান্ডার বার্জিও বোনাল্ডো জানিয়েছেন, বিজ্ঞান নিয়ে জিন রডেনব্যারি কয়েক প্রজন্মের শিশুদের অনুপ্রাণিত করেছেন। এসব মাকড়সার মাথাসহ পুরো শরীর দেখতে হুবহু মহাকাশযানের মতো।
নতুন এই আবিষ্কার মাড়সার উপপরিবার নোপিনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ তৈরি করে দেবে। কারণ, এই মাকড়সাগুলোর গড়নে বেশ বৈচিত্র্য রয়েছে।
সাধারণত মাকড়সার ৬ থেকে ৮টি চোখ থাকে, সেখানে নতুন তিন মাকড়সার চোখ রয়েছে মাত্র দুটি। দাঁত ও চোয়ালসহ অন্যান্য অঙ্গও ভিন্ন রকম দেখতে।
১৯৬৬ সালে টেলিভিশনে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হয় স্টার ট্রেক সিরিজের। পরে সিনেমা ও ভিডিও গেমের মাধ্যমে সায়েন্স ফিকশন দুনিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে এই সিরিজ। ইউরোপ-আমেরিকার নানান দেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিকে জনপ্রিয় করতে স্টার ট্রেক সিরিজকে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। ক্রিক, ম্যাকয় ও স্পক স্টার ট্রেক সিরিজের প্রধান চরিত্র।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস