হাঙরসহ সামুদ্রিক প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত কমছে, কারণ কী

হাঙরছবি: রয়টার্স

হাঙরসহ বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। ১৯৭০ সালের তুলনায় এরই মধ্যে হাঙর ও রে মাছের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। সমুদ্রে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণই সামুদ্রিক প্রাণী কমে যাওয়ার বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাঙর ও রে মাছ সমুদ্রের খাদ্যশৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ শিকারি প্রাণী হওয়ার এগুলোর সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে সমুদ্রজুড়ে খাদ্যশৃঙ্খল বদলে যাচ্ছে।

নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে কন্ড্রিথিয়ান শ্রেণির জীব হাঙর, রে মাছ ও কাইমেরা নামের সামুদ্রিক প্রাণী গত ৫০ বছরে ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। কন্ড্রিথিয়ান প্রজাতি বেশ প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠী। ১ হাজার ২০০টির বেশি প্রজাতি নিয়ে গঠিত এই শ্রেণি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এই শ্রেণির প্রাণীরা। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী কলিন সিম্পফেনডর্ফার জানান, শিকারের পাশাপাশি আবাসস্থলের ওপর আক্রমণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের কারণে এক-তৃতীয়াংশের বেশি কন্ড্রিথিয়ান শ্রেণির জীব এখন বিলুপ্তির মুখে রয়েছে। হাঙর ও রে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়া সমগ্র জলজ বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।

ফ্রান্সের বিজ্ঞানী নাথান প্যাকউরেউ জানিয়েছেন, বিপজ্জনক হলেও এসব সামুদ্রিক প্রাণী গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত ভূমিকা পালন করছে। রিফ হাঙর গভীর সমুদ্র থেকে প্রবালপ্রাচীরে পুষ্টি স্থানান্তর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে রে মাছ সমুদ্রের তলদেশে পলি মিশ্রিতের পাশাপাশি অক্সিজেন তৈরি করে।

হাঙরসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষার বিষয়ে বিজ্ঞানী কলিন সিম্পফেনডর্ফার বলেন, সামুদ্রিক প্রাণীগুলোকে রক্ষা করতে চাইলে মাছ ধরা কমাতে হবে। মাছ ধরার পরিমাণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই শুধু প্রাণীগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশে এসব প্রাণী রক্ষায় কাজ চলছে।

সূত্র: ইউরো নিউজ