চাঁদে কী নিয়ে যাচ্ছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স ফ্যালকন রকেট
চাঁদের বুকে মানুষ পাঠাতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৬ সালে চাঁদে মানুষ পাঠাতে কাজও করছে সংস্থাটি। চীনও জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে তারা। চাঁদে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে দেশটির। বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও চাঁদ নিয়ে গবেষণা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদে দুটি লুনার ল্যান্ডার বা চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস ও জাপানের আইস্পেস। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স ফ্যালকন রকেটে করে চাঁদে পাঠানো হবে লুনার ল্যান্ডারগুলো।
চাঁদে অভিযানের জন্য তৈরি করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তৈরি দুটি লুনার ল্যান্ডারের নাম হচ্ছে ‘রেজিলিয়েন্স’ ও ‘ব্লু ঘোস্ট’। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মহাকাশ উপকূল থেকে স্পেসএক্সের রকেটের মাধ্যমে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে লুনার ল্যান্ডারগুলো। বেসরকারি পর্যায়ের এই মিশনকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করছেন মহাকাশ বিশ্লেষকেরা। চাঁদে অনুসন্ধানের সুযোগ বাড়াতে এ ধরনের প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, আইস্পেসের তৈরি রেজিলিয়েন্স ল্যান্ডারটি চাঁদের বিষুবরেখার ৬০.৫ ডিগ্রি উত্তরে অবস্থিত সিঅফকোল্ড এলাকায় অবতরণ করবে। ল্যান্ডারটি পাঁচটি যন্ত্র ব্যবহার করে চাঁদের মাটি সংগ্রহ করবে। অন্যদিকে ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের তৈরি ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডারটি চাঁদের বিষুবরেখার ১৭ ডিগ্রি উত্তরে অবস্থিত মেরে ক্রিসিয়াম এলাকায় অবতরণ করবে। ব্লু গোস্ট ল্যান্ডারটি মূলত সন্ধ্যার সময়ে চাঁদের ছবি তুলবে।
সূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০