বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হবে হীরার ধূলিকণা, শীতল হবে পৃথিবী

পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য বায়ুমণ্ডলে সিনথেটিক ডায়মন্ড ডাস্ট বা হীরার ধূলিকণা ছড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানীছবি: ফ্রিপিক

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। আর তাই পৃথিবীর তাপমাত্রা কমাতে নানা কৌশল আবিষ্কারের জন্য কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য বায়ুমণ্ডলে সিনথেটিক ডায়মন্ড ডাস্ট বা হীরার ধূলিকণা ছড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। নতুন এ প্রস্তাবের আওতায় প্রতিবছর পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলে লাখ লাখ টন হীরার ধূলিকণা ছড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এতে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে বিজ্ঞানীদের এই ভাবনার কথা প্রকাশিত হয়েছে।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল নানাভাবে চাপের মুখে রয়েছে। কেবল বাতাস থেকে কার্বন অপসারণ করতে সক্রিয়তা হারাচ্ছে বায়ুমণ্ডল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, লাগামহীন অবস্থায় পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। উষ্ণতা কমার কোনো লক্ষণই নেই। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে গ্রহকে শীতল করা। এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানীরা হীরার ধূলিকণা ব্যবহারের একটি ত্রিমাত্রিক জলবায়ু মডেল তৈরি করেছেন। মডেলটিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা কমাতে হীরার ধূলিকণা কাজ করতে সক্ষম।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, হীরার ধূলিকণা দীর্ঘ সময়ের জন্য সর্বাধিক আলো ও তাপ প্রতিফলিত করতে পারে। আরেকটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, যেহেতু হীরার ধূলিকণা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, তারা অ্যাসিড বৃষ্টি তৈরি করতে পারবে না। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ৫০ লাখ টন হীরার ধূলিকণা বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করানো হলে ৪৫ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমপক্ষে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এই কাজের জন্য প্রায় ২০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি