আকাশে পাঠানো হচ্ছে বেলুন রোবট

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে থেকে সেনের ফোরকে ক্যামেরায় তোলা ঘূর্ণিঝড় মিলটনের ছবিছবি: সেন

পৃথিবীর জলবায়ুর নানা তথ্য ও বিভিন্ন বড় ধরনের ঝুঁকির খোঁজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-চালিত বেলুন রোবট আকাশে পাঠানো হচ্ছে। নিয়ার স্পেস ল্যাবস থেকে এসব বেলুন পাঠানো হয়েছে। নিয়ার স্পেস ল্যাবস জানিয়েছে, অনেক বিমা কোম্পানি এখনো জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন করার জন্য বেলুনের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য এসব এআই-চালিত বেলুন রোবট দিয়ে আরও কার্যকরভাবে সংগ্রহ করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

নিউইয়র্কভিত্তিক নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ (স্টার্টআপ) নিয়ার স্পেস ল্যাবস। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকার উচ্চমাত্রার ছবি সংগ্রহ করতে এসব বেলুন রোবট পাঠিয়েছে তারা। উন্নত রোবোটিক ক্যামেরাযুক্ত এসব বেলুনের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন বেলুন সুইফটস নামের এআই–চালিত রোবটের সঙ্গে সংযুক্ত। বাণিজ্যিক বিমানের চেয়ে দ্বিগুণ উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে অবস্থান করছে এসব রোবটচালিত বেলুন। সুইফট রোবট একবারে এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার ছবি তুলতে পারে।

নিয়ার স্পেস ল্যাবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেমা মাতেভোসিয়ান বলেন, ‘আমাদের বেলুন ও রোবট যেকোনো বিপর্যয়ের পরই দ্রুত তথ্য দিতে পারে। এসব তথ্য বিমা কোম্পানি বিশ্লেষণ করে দ্রুত গ্রাহকের অর্থ প্রদান করতে পারে। আমাদের বেলুন একবার উড্ডয়নে আট লাখ ড্রোনের সমান ছবি তুলতে পারে।’

ইদানীং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন ঘন বড় বড় দুর্যোগ দেখা যাচ্ছে। হারিকেন ও দাবানলের মতো দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন বিমা সংস্থার কাছে দ্রুত তথ্যের প্রয়োজন হয়। সেই প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়েই বেলুন রোবট আকাশে পাঠানো হচ্ছে। সুইফট রোবটের নেটওয়ার্ক ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০–৮৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ে ছবি তুলতে পারে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিশদভাবে বড় দুর্যোগ ঘটা অঞ্চলকে কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে।

সূত্র: স্পেস ডটকম