দিনে এক ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করা যাবে না টিকটক, তবে...
ছোট আকারের ভিডিও সহজে তৈরি ও প্রকাশের সুযোগ থাকায় তরুণ-তরুণীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় টিকটক। অভিভাবকের নজর এড়িয়ে গভীর রাতেও টিকটক ব্যবহার করেন অপ্রাপ্তবয়স্করা। বিষয়টি অজানা নয় টিকটকের কাছেও। আর তাই ১৮ বছরের কম ব্যবহারকারীদের দিনে মাত্র এক ঘণ্টা টিকটক ব্যবহারের সুযোগ দিতে নতুন স্ক্রিন টাইম ও ফ্যামিলি পেয়ারিং সুবিধা চালু করেছে চীনের ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
আজ বুধবার এক ঘোষণায় টিকটক জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ‘স্ক্রিন টাইম’ অপশনে নতুন এ সুবিধা বিল্টইনভাবে পাওয়া যাবে। এ সুবিধা চালু হলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের যন্ত্রে ডিফল্টরূপে দৈনিক এক ঘণ্টার স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা। ফলে এক ঘণ্টা ব্যবহার করলেই ব্যবহারকারীদের কাছে সময় শেষের বার্তা পাঠাবে টিকটক। শুধু তা–ই নয়, অতিরিক্ত সময় টিকটক ব্যবহারের জন্য একটি কোডও পাঠাবে। কোডটি লিখলে আরও ৩০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে টিকটক। ১৩ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কাছে কোড পাঠানো হবে। ফলে অভিভাবকেরা কোডটি লিখলেই বাড়তি সময় টিকটক ব্যবহার করা যাবে।
নতুন এ সুবিধা বন্ধ রেখে নিজেদের জন্য আলাদা স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করতে পারবেন অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা। তবে এ সুবিধা চালু বা বন্ধ যা–ই করা হোক না কেন, সপ্তাহে শেষে টিকটক ব্যবহারের সময় উল্লেখ করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ই-মেইল পাঠাবে টিকটক কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ফ্যামিলি পেয়ারিং সুবিধার মাধ্যমে অভিভাবকদের সন্তানের ভিডিও দেখার ধরনও নির্বাচনের সুযোগ দেবে।
সম্প্রতি টিকটক কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট তৈরি করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞদের এই উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে টিকটক বেশ ঝামেলায় পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকটক ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করতে নতুন এ সুবিধা চালু করছে টিকটক।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ