গর্ডন মুরের জন্ম

শীর্ষ প্রসেসর নির্মাতা ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা গর্ডন আর্ল মুর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রকৌশলী।

গর্ডন মুরউইকিমিডিয়া

৩ জানুয়ারি ১৯২৯
গর্ডন মুরের জন্ম
শীর্ষ প্রসেসর নির্মাতা ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গর্ডন আর্ল মুর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রকৌশলী ছিলেন। মাইক্রোপ্রসেসর নিয়ে গর্ডন মুরের নীতি (মুর’স ল) প্রযুক্তি দুনিয়ায় প্রসেসরের ক্ষেত্রে এখনো মেনে চলা হয়। মুরের নীতিতে বলা হয়েছে, প্রতি দুই বছর অন্তর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটে (আইসি) ট্রানজিস্টরের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত মুরের এই নীতি এখনো প্রসেসর প্রযুক্তির উন্নয়নে পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে।

গর্ডন মুর (বামে) ও রবার্ট নয়েস ১৯৬৮ সালে ইন্টেল প্রতিষ্ঠা করেন।
উইকিমিডিয়া

মুর ১৯৬৮ সালে রবার্ট নয়েসের সঙ্গে ইন্টেল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর আগে ১৯৫৭ সালে ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠা করতেও তিনি সহায়তা করেছিলেন। গর্ডন মুর আইইইই মেডেল অব অনার (২০০৮), আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের ফেলো (২০০৩), বওয়ার অ্যাওয়ার্ড অব বিজনেস লিডারশিপ (২০০২), ফেলো অব কম্পিউটার হিস্ট্রি মিউজিয়াম (১৯৯৮), যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ গর্ডন মুর মারা যান।

স্টিভ জবস ও স্টিফেন ওয়জনিয়াক (ডানে)
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

৩ জানুয়ারি ১৯৭৭
অ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেটেড হলো
স্টিভেন (স্টিভ) জবস ও স্টিফেন ওয়জনিয়াক অ্যাপলকে ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করেন। এর নাম দেওয়া হয় অ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেটেড। এর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ আইপিও নিয়ে হাজির হয় অ্যাপল। এর আগে বৃহত্তম আইপিও ছিল ১৯৫৬ সালে ফোর্ড মোটর কোম্পানির। প্রথম দিনই অ্যাপলের শেয়ার ৩২ শতাংশ বেড়ে যায়, আর কোম্পানির মূল্যমান দাঁড়ায় ১৭৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে। সাত বছর পর ১৯৮৪ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাপল মেকিন্টোশ পারসোনাল কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। তখন এর প্রচারণায় আইবিএমকে ‘বড় ভাই’ আর অ্যাপলকে জনতার ত্রাতা হিসেবে বলা হয়েছিল।

হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সাতোশি নাকামোতোর ব্রোঞ্জে নির্মিত আবক্ষ মূর্তি
উইকিমিডিয়া

৩ জানুয়ারি ২০০৯
প্রথম বিটকয়েন চালু করেন ‘সাতোশি নাকামোতো’
সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের এক ব্যক্তি প্রথমবারের মতো আলোচিত-সমালোচিত ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন চালু করেন। ধারণা করা হয়েছিল সাতোশি নাকামোতো নামের আড়ালে এক বা একাধিক ব্যক্তি বিটকয়েন তৈরি করেছিলেন। বিটকয়েন চালুর অংশ হিসেবে নাকামোতো প্রথম ব্লকচেইন ডেটাবেস উদ্ভাবন করেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নাকামোতো বিটকয়েনের উন্নয়নে কাজ করে যান।

জনসমুক্ষে সাতোশি নাকামোতো। ২০১৪
রয়টার্স

সাতোশি নাকামোতোর সত্যিকারের পরিচিতি নিয়ে নানা প্রচারণা ছিল। অনেককেই এই নামের আড়ালে থাকা ব্যক্তি হিসেবে সন্দেহ করা হয়েছিল। যেহেতু নাকামোতোর নামটি জাপানি, তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক সফটওয়্যার ও ক্রিপ্টোগ্রাফি–বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, নাকামোতো জাপানে বসবাস করেন। একটা সময়ে নাকামোতো জনসমুক্ষে আসেন। তিনি জানান, ২০০৭ সালে বিটকয়েনের প্রোগ্রাম লেখা শুরু হয়। ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট তিনি বা তাঁর কোনো সহকর্মী বিটকয়েন ডটওআরজি ডোমেইন নিবন্ধন করে নেন। এ ঠিকানা দিয়ে একটি ওয়েবসাইটও প্রকাশ করা হয়। ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি সোর্সফোর্জ ওয়েবসাইটে বিটকয়েন সফটওয়্যারের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে ‘জেনেসিস ব্লক অব বিটকয়েন’ নামের একটি নেটওয়ার্কও চালু করা হয়। এতে যুক্ত হলেই ৫০ বিটকয়েনস বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা বলা হয়।

বিটকয়েনের কল্পিত ছবি
রয়টার্স

বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ থাকলেও বিটকয়েনে প্রসার বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবেই হয়েছে। ধারণা করা হয়, নামাতো নিজেই ৭ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১১ লাখ বিটকয়েনের মালিক। এটি ২০২১ সালের নভেম্বরের হিসাব। তখন প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ৬৮ হাজার মার্কিন ডলার। ফলে বিটকয়েনের জোরে নাকামোতোর সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বলে ধারণা করা হয়।