পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করবে গুগল, কেন
গুগল এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রযুক্তি ও সেবায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। নিজেদের এআই প্রশিক্ষণ ও পরিচালনা কার্যক্রমের জন্য নতুন শক্তিশালী ডেটা সেন্টার ব্যবহার করছে গুগল। এসব ডেটা সেন্টারে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই নিজেদের ডেটা সেন্টারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে যাচ্ছে গুগল। সম্প্রতি ৫০০ ওয়াটের ছোট পারমাণবিক চুল্লি তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাইরোস পাওয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করেছে তারা।
চুক্তির আওতায় কাইরোস পাওয়ার গুগলের জন্য সাতটি ছোট পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করবে। প্রথম চুল্লিটি ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ শুরু করবে। এ বিষয়ে গুগলের জ্বালানি ও জলবায়ু বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক মাইকেল টেরেল বলেন, এআই প্রযুক্তির জন্য নতুন বিদ্যুতের উৎসের প্রয়োজন হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উৎস বড় ধরনের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি, ব্যবসা আর গ্রাহকদের জন্য উন্নত সেবা তৈরিতে সহায়তা করবে। চুক্তির মাধ্যমে ক্লিন এনার্জির উৎস হিসেবে পারমাণবিক চুল্লিটি নির্ভরযোগ্যভাবে শক্তির চাহিদা মেটাতে কাজ করবে।
গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো টেক জায়ান্টরা সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক শক্তির প্রতি নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে মাইক্রোসফট যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় থ্রি মাইল আইল্যান্ডে অবস্থিত পুরোনো একটি পারমাণবিক চুল্লি চালুর জন্য কাজ শুরু করেছে। আগামী ২০ বছরের জন্য এই চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করবে মাইক্রোসফট।
জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে থাকা ডেটা সেন্টার বিশ্বের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৩ শতাংশ ব্যবহার করে। এআই প্রযুক্তির কারণে আগামী বছরগুলোয় বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে। আর তাই প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ছোট আকারের পারমাণবিক চুল্লির চাহিদা বাড়ছে।
সূত্র: আল–জাজিরা