উইন্ডোজ ১১-তে যত সুবিধা
বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তিসুবিধা রয়েছে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে। কিন্তু এ বিষয়ে ধারণা না থাকায় এখনো অনেকেই উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। জেনে নেওয়া যাক নতুন সুবিধাগুলো—
কাজের গতি
উইন্ডোজ ১০-এর তুলনায় উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে দ্রুত কাজ করা যায়। কারণ, উইন্ডোজ ১১-তে রয়েছে শক্তিশালী টাস্ক ম্যানেজার, যা সহজেই সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের কাজ ব্যবস্থাপনা করতে পারে। আর এ কারণে একসঙ্গে একাধিক সফটওয়্যার ব্যবহার করলেও উইন্ডোজ ১০-এর মতো কম্পিউটারের গতি কমে যায় না। সিপিইউর ক্ষমতার ৯০ শতাংশ ব্যবহারের পরও ফটোশপ বা এক্সেলের মতো সফটওয়্যার স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যায়।
ব্রাউজিং
উইন্ডোজ ১১-তে মাইক্রোসফটের নিজস্ব ব্রাউজার ‘এজ’ ডিফল্ট হিসেবে রয়েছে।
গেমারদের জন্য সুবিধা
উইন্ডোজ ১১-তে গ্রাফিকস কার্ড ও এসএসডি দ্রুত কাজ করার পাশাপাশি অটো এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ) সুবিধা রয়েছে। ফলে কম্পিউটারে গেম খেলার সময় উন্নত রেজল্যুশনের ছবি দেখা যায়।
একাধিক মনিটর ব্যবহার
উইন্ডোজ ১১-তে এক্সটার্নাল মনিটর স্ট্যাটাস থাকায় সহজেই একাধিক মনিটর ব্যবহার করা যায়। এ সুবিধা থাকায় হঠাৎ কম্পিউটার রিস্টার্ট হলে কম্পিউটার চালুর পরপরই এক্সটার্নাল মনিটরের জন্য ব্যবহৃত এক্সটার্নাল মনিটর অ্যাপটি দ্রুত চালু হয়। কাজ হারিয়ে যাওয়া বা নতুন করে অ্যাপ চালু করতে হয় না।
নতুন ইউজার ইন্টারফেস
সহজে অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ দিতে উইন্ডোজ ১১-তে নতুন ইউজার ইন্টারফেস ও নকশার মাইক্রোসফট স্টোর যুক্ত করা হয়েছে।
উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থা
উইন্ডোজ ১১-তে ভাইরাস আক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু নিরাপত্তাসুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি মাইক্রোসফটের নিজস্ব অ্যান্টিভাইরাস ডিফেন্ডারের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করা যায়।
হালনাগাদ সংস্করণ ও সমর্থন
প্রতিবছরই উইন্ডোজ ১১-এর সংস্করণ হালনাগাদ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, কারিগরি সমর্থন সুবিধাও পাওয়া যাবে দীর্ঘদিন।
নতুন স্টার্ট মেনু ও টাস্কবার
উইন্ডোজ ১১-তে ম্যাক ওএসের মতো স্টার্ট মেনু ও টাস্কবারের অবস্থান পরিবর্তন করে মাঝখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
চলবে যেসব কম্পিউটারে
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ৬৪ গিগাবাইট হতে হবে। প্রয়োজন হবে ১ গিগাহার্টজ গতির দুই বা এর চেয়ে বেশি কোরের ৬৪ বিট প্রসেসর ও ৪ গিগাবাইট র্যাম। কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে কি না, তা জানতে ‘উইন্ডোজ হেলথ চেক’ নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। মাইক্রোসফটের তৈরি সফটওয়্যারটি থেকে বিনা মূলে নামিয়ে ব্যবহার করা যায়।