দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য ও সেবা প্রকল্পগুলোকে স্বীকৃতি দিতে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ৩৬টি বিভাগে ৬৮ প্রকল্পকে বেসিসের এই ‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস’ দেওয়া হয়। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো হলো এ আয়োজন। এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা) অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত একাধিক প্রকল্প অংশ নেবে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদের ভিডিও বার্তায় দেখানো হয়। বার্তায় তিনি বলেন, বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় প্রায় ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে এই আয় ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চাই আমরা।
বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের প্রধান বিচারক ছিলেন, অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি। তিনি বলেন, অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতা সহজ বিষয় নয়। আর তাই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কার পাওয়া প্রকল্পগুলোকে খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য পুরস্কার পাওয়া সেরা প্রকল্পগুলোর মান উন্নয়নে সহায়তা করবে বেসিস। কয়েক বছর ধরেই অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বিজয়ী হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বেসিসের এ আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২১টি প্রকল্প। এগুলো র্যাবিটহোল (গণমাধ্যম ও বিনোদন বিভাগ), ফ্লুয়েন্ট সিআরএম (ডিজিটাল মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন), সেভিংস প্রোডাক্ট (ব্যাংকিং, ইন্সুরেন্স ও ফিন্যান্স), ইনকিবে (মার্কেটপ্লেসেস), ইজি মার্চেন্ট এপিপি (খুচরা এবং বিতরণ), ট্রাবিল (পর্যটন এবং আতিথেয়তা), প্রবাস বন্ধু (কমিউনিটি সেবা), সহপাঠী (শিক্ষা), আইএমসিআই (হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং), ডাক্তার চাষি ও প্রটেক্টো-স্মার্ট ইউভি ডিসইনফেকশন ডিভাইস (স্থায়িত্ব ও পরিবেশ), একিউলিব্রিয়াম (কৃষি), ইনস্টাশিউর (ফিনটেক), সিনার্জি (আইসিটি সার্ভিস), কেসট্র্যাক (পেশাগত পরিষেবা), সিমলেক্স ভিপিএন (নিরাপত্তা সমাধান), বিনিময় (ডিজিটাল সরকার), কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার (বেসরকারি খাত ও সরকার), ব্লাড ব্যাগ (শিক্ষার্থী), প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য মোবাইল ডিভাইস (ক্রস বিভাগ) এবং অ্যানার্জি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (স্টার্টআপ)।