প্রথম বাণিজ্যিক ভিডিও গেম পং আনল অ্যাটারি

গেমস নির্মাতা অ্যাটারি করপোরেশন ‘পং’ ভিডিও গেম আনার ঘোষণা দেয়। এটি ছিল প্রথম বাণিজ্যিক ভিডিও গেম। টেবিল টেনিস খেলা থেকেই তৈরি হয়েছিল পং।

সহজ–সরল দ্বিমাত্রিক গ্রাফিকসের পং গেম দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেউইকিমিডিয়া

২৯ নভেম্বর ১৯৭২
প্রথম বাণিজ্যিক ভিডিও গেম পং আনল অ্যাটারি
গেমস নির্মাতা অ্যাটারি করপোরেশন ‘পং’ ভিডিও গেম আনার ঘোষণা দেয়। এটি ছিল প্রথম বাণিজ্যিক ভিডিও গেম। টেবিল টেনিস খেলা থেকেই তৈরি হয়েছিল পং। এটি ঘরোয়া এবং ভিডিও গেম আর্কেডেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

পংয়ের নির্মাতা অ্যালেন অ্যালকর্ন
উইকিমিডিয়া

পং একজন যেমন খেলতে পারতেন, তেমনি দুজনেও খেলা যেত। দুই পক্ষের জন্য থাকত দুটি প্যাডেল বা বার। একটি বলকে প্রতিপক্ষের দিকে পাঠাতে হতো। ওদিক থেকে আসা বল প্যাডেল দিয়ে ফেরত পাঠাতে না পারলে প্রতিপক্ষের পয়েন্ট বেড়ে যেত। সহজ–সরল দ্বিমাত্রিক গ্রাফিকসের কারণে পং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পরে কম্পিউটারের জন্যও তৈরি হয় পং গেম। অ্যাটারির প্রকৌশলী অ্যালেন অ্যালকর্ন একটি প্রশিক্ষণের প্রকল্প অনুশীলন করতে গিয়ে পং তৈরি করেন। অ্যাটারির সহপ্রতিষ্ঠাতা নোল্যান বুশনেল অ্যালেনকে এই প্রকল্প করতে দিয়েছিলেন।

পং, বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রথম ভিডিও গেম
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

পং ছিল বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রথম ভিডিও গেম। ম্যাগনাভক্স ওডেসির সঙ্গে এটি ভিডিও গেম শিল্প গড়ে তুলতে সহায়ক ছিল। পং প্রকাশিত হওয়ার পর একই ধরনের গেম তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ওদিকে অ্যাটারি আরও সৃজনশীল গেম বানাতে থাকে। নতুন সুবিধা যোগ করে অ্যাটারি পংয়ের একাধিক সংস্করণ প্রকাশ করেছিল। পং এতই আলোচিত ও জনপ্রিয় ছিল যে এই ভিডিও গেমটি সাংস্কৃতিক প্রভাবের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের স্থায়ী সংগ্রহে স্থান পেয়েছে।

স্যার জন অ্যামব্রোজ ফ্লেমিং
উইকিমিডিয়া

২৯ নভেম্বর ১৮৪৯
ভ্যাকুয়াম টিউব ও ডায়োডের উদ্ভাবক জন ফ্লেমিংয়ের জন্ম
ইংরেজ তড়িৎ প্রকৌশলী ও পদার্থবিদ স্যার জন অ্যামব্রোজ ফ্লেমিং ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম থারমায়োনিক ভাল্‌ভ বা ভ্যাকুয়াম টিউব উদ্ভাবন করেন। ১৯০৪ সালে এর নামকরণ হয় কেনোট্রন। ভ্যাকুয়াম টিউব দিয়ে তিনি বেতার সংকেত প্রেরণ যন্ত্রের (রেডিও ট্রান্সমিশন) নকশাও করেন। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে রাইট-হ্যান্ড নীতির ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত করেন। আবার বৈদ্যুতিক মোটরের ‘লেফট হ্যান্ড’ নীতিমালার জন্যও খ্যাতি পেয়েছেন।
জন ফ্লেমিং হিউগস পদক (১৯১০), অ্যালবার্ট পদক (১৯২১), ফ্যারাডে পদক (১৯২৮), ডুডেল পদক (১৯৩০), আইআরই মেডেল অব অনার (১৯৩৩) ও ফ্র্যাঙ্কলিন পদক (১৯৩৫) পেয়েছেন। ১৯৪৫ সালে মারা যান জন ফ্লেমিং।