পদত্যাগ করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ

বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মো. মহিউদ্দিন আহমেদসংগৃহীত

দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরের পর তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগপত্রে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ব্যক্তিগত অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বর্তমানে আমি অসুস্থ এবং উক্ত দায়িত্ব (চেয়ারম্যান, বিটিআরসি) পালনে অপারগ। তাই আমি স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’ এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বরাবর বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পাঠানো পদত্যাগপত্র।
সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর থেকে মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বিটিআরসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফিরে আসে। আর ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক। ৩১ জুলাই বেলা দুইটার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়। আবার ২ আগস্ট মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের আগের দিন ৪ আগস্ট আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। ৫ আগস্ট সকালে কয়েক ঘণ্টা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পর আবার মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। দেশে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে বিটিআরসি। ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় সরকারি সংস্থা হিসেবে সমালোচনার মুখে পরে সংস্থাটি।