স্মার্টফোনের ৭টি জরুরি ও দরকারি সুবিধা
স্মার্টফোন দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে অনেক কাজ করা যায়। তবে ব্যবহারকারীরা অনেক ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্যই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। স্মার্টফোনে ওয়েবসাইট দেখা, ই–মেইল আদান–প্রদান, নানারকম অ্যাপ ব্যবহার করা, ভিডিও কল করা, গান শোনা, ভিডিও দেখা এবং লিখিত বার্তা পাঠানোর বাইরেও অনেক কিছু করা যায়। তবে স্মার্টফোনে এখন এত সুবিধা যুক্ত থাকে যে অনেক সময় সেগুলো মনে রাখাও দুরূহ হয়ে পড়ে। স্মার্টফোনের কিছু অজানা সুবিধা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও কর্মক্ষম করতে পারে। এমন সাতটি সুবিধার কথা থাকছে এখানে।
১
নথি স্ক্যান করা
কোনো নথি প্রিন্ট করে তা স্ক্যান করে আবার ডিজিটাল কপি বানানোর পর ই–মেইল করা ঝামেলাপূর্ণ কাজ। স্ক্যানারের মতো ঢাউস যন্ত্র ছাড়াই খুব সহজে স্মার্টফোন দিয়ে নথিপত্র স্ক্যান করে ডিজিটাল কপি তৈরি করা যায়। আইফোনের নোটস অ্যাপ থেকে নথি স্ক্যান করার সুবিধা পাওয়া যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে নথি স্ক্যান করা যাবে। এ ছাড়া স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপের এ সুবিধা রয়েছে।
২
গাড়ি চালু করা
স্মার্টফোনকেই গাড়ির চাবি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে গাড়ির মডেল, সংস্করণ এবং কোন সালে গাড়িটি বাজারজাত করা হয়েছে—এসবের ওপর নির্ভর করে সুবিধাটির প্রাপ্যতায় ভিন্নতা থাকতে পারে। গাড়ি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপ নামিয়ে স্মার্টফোনকে চাবি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ফোর্ডের গাড়ির জন্য ফোর্ডপাস নামে একটি অ্যাপ রয়েছে। ফোর্ড গাড়ি ব্যবহারকারীরা এ অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন দিয়েই দূর থেকে গাড়ির দরজা খোলা ও বন্ধ এবং গাড়ি চালু করতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ডিজিটাল কি নামের সুবিধা ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
টিভির রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার
স্মার্টফোনকেই টেলিভিশন নিয়ন্ত্রণের রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চ্যানেল পরিবর্তন, শব্দ বাড়ানো বা কমানোর পর মতো কাজগুলো স্মার্টফোন দিয়ে করা যায়। টেলিভিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপ নামিয়ে এ সুবিধা ব্যবহার করা যায়।
মাপজোখ করা
অনেক সময় হাতের নাগালে মাপজোখ করার ফিতা বা স্কেল থাকে না। তখন স্মার্টফোনের ক্যামেরা এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাপজোখের কাজ করা যেতে পারে। আইফোনে মেজার অ্যাপ এবং অ্যান্ড্রয়েডে মেজার আপের এই লিংক থেকে মাপজোখ করা যায়।
হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করা
স্মার্ট ঘড়ি ছাড়াও স্মার্টফোন দিয়ে সহজে হৃৎস্পন্দন মাপা যায়। এ জন্য স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ নামিয়ে সুবিধাটি ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপ স্টোরে বিনা মূল্যে এমন অ্যাপ পাওয়া যায়। তবে অ্যাপ নামানোর আগে রিভিউ দেখে নিতে হবে।
ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে
স্মার্টফোনকে ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং এতে কার্ড, বোর্ডিং পাস, টিকিট, চিকিৎসা বিমা কার্ড যুক্ত করা যেতে পারে। আইফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপল ওয়ালেট ব্যবহার করে এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
নিজের ছবি তোলা
একা ভ্রমণ করার সময় সুন্দর কোনো দৃশ্য বা স্থাপনার সঙ্গে ছবি তুলতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু অন্যের সাহায্য ছাড়া তখন ছবি তোলাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। স্মার্টফোনে থাকা ক্যামেরার টাইমার ব্যবহার করে নিজেই নিজের ছবি তোলা যেতে পারে। এ ছাড়া লেন্স বাডি নামে অ্যাপলের অ্যাপ ব্যবহার করেও এ সুবিধা ব্যবহার করা যায়।
ওপরের সুবিধাগুলো ছাড়াও স্মার্টফোনকে কম্পাস, টর্চলাইট হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: জেডডিনেট