স্মার্টফোনে ভিডিও সম্পাদনার সেরা ৭ অ্যাপ
ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন অনেকেই নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও পোস্ট করেন। ভালো মানের ভিডিও তৈরির জন্য প্রয়োজন ভিডিও সম্পাদনা অ্যাপ। সংবাদভিত্তিক প্রযুক্তি ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার উপযোগী এ বছরের সেরা ভিডিও সম্পাদনা অ্যাপের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় থাকা ভিডিও সম্পাদনা অ্যাপগুলোর মধ্যে সাতটি অ্যাপের নাম ও কাজের ধরন দেখে নেওয়া যাক—
অ্যাডোবি প্রিমিয়ার রাশ
কম্পিউটারে ভিডিও সম্পাদনার জন্য অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো খুবই জনপ্রিয়। পেশাদার ভিডিও তৈরিতে সাধারণত এ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনেও অ্যাডোবি প্রিমিয়ার রাশ ব্যবহার করে স্বচ্ছন্দে দ্রুত ভিডিও সম্পাদনা করা সম্ভব। অ্যাপটি দিয়ে ভিডিওর গতি বাড়ানো বা কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিপ যুক্ত, গ্রাফিকসের কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন শব্দও যোগ করা যায়। অর্থের বিনিময়ে বা বিনা মূল্য ব্যবহার করা যায় অ্যাপটি। তবে বিনা মূল্যের সংস্করণে অ্যাপটির সব সুবিধা পাওয়া যায় না।
কাইনমাস্টার
কাইনমাস্টার অ্যাপে আগে থেকেই তৈরি করা বিভিন্ন টেমপ্লেট পাওয়া যায়। ফলে এগুলো ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক এবং ভ্লগের উপযোগী ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। ভিডিওর পটভূমি মুছে ফেলা, কণ্ঠ সম্পাদনা, ইফেক্ট যোগ করা, ভিডিও রিভার্স করার সুবিধাও পাওয়া যায় এ অ্যাপে। কাইন ক্লাউড ব্যবহার করে নিবন্ধিত গ্রাহকেরা ১০ গিগাবাইট পর্যন্ত ভিডিও আপলোড করে সেগুলো অন্য যন্ত্র থেকে সম্পাদনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। অ্যাপটি বিনা মূল্যে ও অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা যায়।
পাওয়ার ডিরেক্টর
পাওয়ার ডিরেক্টর অ্যাপে বিল্ট ইন স্টক লাইব্রেরি রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ টেমপ্লেট রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের ভিডিওতে বিভিন্ন টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপটির স্ট্যাবিলাইজার–সুবিধা ব্যবহার করে চাইলে কাঁপতে থাকা ভিডিওগুলোও স্থির ভিডিওতে রূপান্তর করা যায়।
ফিলমোরা
পোর্ট্রেট ভিডিও সম্পাদনার জন্য ফিলমোরা বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে সহজেই ভিডিওতে সহজেই বিভিন্ন স্টিকার, ইফেক্ট এবং ইমোজি ব্যবহার করা যায়। ১ হাজারের বেশি সাউন্ড ইফেক্ট, ৫ হাজারের বেশি প্রিমিয়াম স্টিকার, হরেক রকম টেক্সট নকশা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে অ্যাপটিতে। আর তাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য ভিডিও তৈরিতে অ্যাপটি বেশি ব্যবহার করা হয়। অ্যাপটি বিনা মূল্যে ও অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা যায়। তবে বিনা মূল্যে অ্যাপটি ব্যবহার করলে সম্পাদনা করা ভিডিওতে স্টিকার দেখা যায়।
ইনশট
ইনশট অ্যাপটিতে প্রাথমিক এবং পেশাদার দুই ধরনের ভিডিও সম্পাদনা করাই সম্ভব। ভিডিও ট্রিম করা, ভিডিওর গতিনিয়ন্ত্রণ, স্লাইড শো বানানো, বিভিন্ন রংয়ের ইফেক্ট ব্যবহার ছাড়াও সম্পাদনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করা যায় এ অ্যাপে। অ্যাপটি বিনা মূল্যে এবং অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারের সুযোগ মিলে থাকে।
ক্যাপকাট
টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য অফিশিয়াল ভিডিও সম্পাদনা অ্যাপ হলো ক্যাপ কাট। টিকটক ছাড়াও অন্য ভিডিও সম্পাদনার জন্য এ অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়। আগে থেকে তৈরি বিভিন্ন টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায় এ অ্যাপে। এ ছাড়া ধীরগতির ইফেক্ট, কাঁপতে থাকা ভিডিওগুলোও স্থির ভিডিওতে রূপান্তর, ভিডিও থেকে নির্দিষ্ট রং মুছে ফেলা যায় ক্যাপকাটের মাধ্যমে। অ্যাপটিতে থাকা বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার স্বয়ংক্রিয় ক্যাপশন লেখার সুযোগও মিলে থাকে।
গুগল ফটোজ
গুগল ফটোজ ব্যবহার করে ছবি সংরক্ষণের পাশাপাশি স্বচ্ছন্দে ভিডিও সম্পাদনা করা যায়। গুগল ফটোজে থাকা ভিডিওতে ট্যাপ করে নিচে থাকা এডিট অপশন থেকে ভিডিও সম্পাদনা করার সুযোগ মিলে থাকে। ভিডিও ক্রপ করা, উজ্জ্বলতা, কনট্রাস্ট, এইচডিআর, হোয়াইট পয়েন্টের সামঞ্জস্য আনা, বিভিন্ন ফিল্টার ও লেখা যুক্তও করা যায় অ্যাপটি।