ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে পুরস্কৃত ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
ডিজিটাল বাংলাদেশে গঠনে ভূমিকা রাখায় ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ১৯টি বিভাগে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড। অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় হাজারো রাইডার এবং ৫৫ হাজারের বেশি এসএমই উদ্যোক্তার আয়ের সুযোগ করে দেওয়ায় এ পুরস্কার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী।
জাতীয় পর্যায়ে কারিগরি বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছে ইউনাইডেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এইমস ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের পুরস্কার পেয়েছে ডিজিটাল পল্লী উদ্যোগ। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো, আবদুর রহিম খান, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, ক্র্যাফট ভিশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল এবং আইমেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহেদ আলী।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন।
জাতীয় পর্যায়ে কারিগরি সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের পুরস্কার পেয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসআইএমএস সফটওয়্যার তৈরি ও বাস্তবায়নের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব এবং বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছেন বিআরআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়াজ মো. ফারহাত রহমান।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছেন অগমেডিক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রাশেদ মুজিব।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের পুরস্কার পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের উদ্যোগ। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগ।
জাতীয় পর্যায়ে কারিগরি সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব হাসিনা বেগম। ‘ভয়েজ অব ডটারস’ উদ্যোগের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। গত মাসে হাসিনা বেগম প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মেয়ে হুমায়রা হাসিন পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে কারিগরি বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলে পুরস্কার পেয়েছে ঊর্মি গ্রুপ। জাতীয় পর্যায়ে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় আরএফআইডির সফল বাস্তবায়নের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার গ্রহণ করেন ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ।
জাতীয় পর্যায়ে কারিগরি বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে অ্যাকুয়ালিংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
জেলা পর্যায়ে সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিঠুন সরকার। তিনি হাতের মুঠোয়, ঘরে বসে অনলাইন ডিজিটাল প্রাণিসম্পদ সেবা ও কাগজবিহীন অফিস ব্যবস্থাপনার উদ্যোগের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন।
যাত্রীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী যন্ত্র ডিজিটালাইজড বিআইডব্লিউটিএ তৈরি করে জেলা পর্যায়ে বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছেন ভোলার সরকারি আবদুল জব্বার কলেজের শিক্ষার্থী মাহির আশহাব।
অনলাইনে উত্তরাধিকার সনদপত্র প্রদান উদ্যোগের জন্য জেলা পর্যায়ে সাধারণ সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের নেতৃত্বের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। দলের বাকি সদস্যরা হলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম ফেরদৌস ইসলাম।
জেলা পর্যায়ে সাধারণ বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি ও কবরস্থানের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার উদ্যোক্তা চৌধুরী তানভীর ইসলাম। দলের বাকি সদস্যরা হলেন মো. রুম্মান ইসলাম, মো. আশরাফ আলী, মো. আসাদুজ্জামান ও মো. আবদুর রহিম।
জেলা পর্যায়ে সাধারণ সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট ফর স্মার্ট সোসাইটি অব আরডিএ উদ্যোগের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছে।
জেলা পর্যায়ে সাধারণ বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে ‘দেশী হাট’। প্রতিষ্ঠানটি প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স সম্পৃক্তকরণ, প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছে।
জেলা পর্যায়ে কারিগরি সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছেন ময়মনসিংহের সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ট্রেজারি অটোমেশন উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার পান তিনি।
জেলা পর্যায়ে কারিগরি বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুরস্কার পেয়েছেন রোবট সেবকের নির্মাতা বরিশালের অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ কর্মকার।
জেলা পর্যায়ে কারিগরি সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের পুরস্কার পেয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। বিদেশি পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণের অনুমোদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে ওয়েব সফটওয়্যার তৈরির জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জেলা পর্যায়ে কারিগরি বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ দলের পুরস্কার পেয়েছে বগুড়ার টিএমএসএস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ল্যাব সহকারী মো. মঈনুল হাসান।
জেলা পর্যায়ে কারিগরি সরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। কুমিল্লায় স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম এবং শিক্ষায়তন সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জেলা পর্যায়ে কারিগরি বেসরকারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে মীনা গেম ২ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাইজআপ ল্যাবস।