ফোনের ক্যামেরা হ্যাকড হলে বুঝবেন যেভাবে

ফোনের ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম হ্যাক হতে পারেপিক্সাবে

ফোন বা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনলাইন বা দৈনন্দিন কার্যক্রমে নজরদারি করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। শুধু তা–ই নয়, গোপনে ফোনের ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম চালু করে ছবি বা ভিডিও ধারণও করতে পারে। ফলে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যেতে পারে সাইবার অপরাধীদের দখলে। তবে ফোনের ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে গেছে কিনা তা বোঝার উপায়ও আছে। কিছু লক্ষণ দেখে ফোনের ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম হ্যাকড হয়েছে কি না, তা অনুমান করা সম্ভব।

আরও পড়ুন

ভিপিএন বা ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ভিপিএনওভারভিউয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ টোভি মার্কস জানিয়েছেন, ফোনের ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম হ্যাক হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। এসব লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে দূর থেকে কেউ ফোনের ক্যামেরা বা কম্পিউটারের ওয়েবক্যাম ব্যবহার করছে। সবাইকে সতর্ক করতে তিনটি লক্ষণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

১.

টোভি মার্কসের তথ্যমতে, কোনো অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আপনার নাম বা পেশা উল্লেখ করে নিয়মিত ই-মেইল বা সামাজিক মাধ্যমে বার্তা আসতে থাকলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। একই ঠিকানা থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে বুঝতে হবে সাইবার অপরাধীদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আপনি।

২.

দ্বিতীয় লক্ষণ হচ্ছে, ফোনের ক্যামেরায় বা ওয়েব ক্যামেরার ভেতরে হঠাৎ করেই ছোট আলোর বিন্দু জ্বলে ওঠা। ফ্ল্যাশলাইট জ্বলে ওঠার পাশাপাশি ভিডিও কলের সময় আলো কমবেশি হলেও সতর্ক হতে হবে।

আরও পড়ুন

৩.

তৃতীয় লক্ষণ হচ্ছে, ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হওয়া। এ ছাড়া ফোন বা ওয়েবক্যাম ব্যবহারে সমস্যা হলে কিংবা বিভিন্ন সুবিধা নিজ থেকেই চালু হলে বুঝতে হবে ফোনের ক্যামেরা, ওয়েবক্যাম হ্যাক হয়েছে।

আরও পড়ুন

সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ছাড়া ফোনের ক্যামেরা বা ওয়েবক্যাম ঢেকে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদের পরামর্শ দিয়েছেন টোভি মার্কস। শুধু তা–ই নয়, নিয়মিত ফোন বা কম্পিউটারে মেলওয়্যার বা ভাইরাস স্ক্যান করে অবাঞ্ছিত অ্যাপ বা সফটওয়্যার মুছে ফেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।  


সূত্র: ডেইলি মেইল