ইউরোপের শিশুদের জন্য ফিটনেস ভিডিও সীমিত করবে ইউটিউব

শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ইউটিউব বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেছবি: ইউটিউব

কোনো কনটেন্ট বা আধেয় দেখে শিশুর ভেতরে যাতে নেতিবাচক ভাবনা তৈরি না হয়, সে জন্য নিজেদের সুরক্ষা নীতি হালনাগাদ করেছে ইউটিউব। অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ইউরোপে বসবাস করা শিশুদের সামনে ফিটনেস লেভেল বা শরীরের ওজন–সংক্রান্ত ভিডিও দেখানো সীমিত করবে ভিডিও দেখার ওয়েবসাইটটি৷

কোনো শারীরিক গঠনকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন, কোনো ব্যক্তির শরীরের গঠনকে অন্য কারও শরীরের গঠনের সঙ্গে তুলনা, শরীরের ওজনকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করলে শিশুর মনের ভেতর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই এসব ভিডিও সুপারিশের জন্য সীমিত করবে ইউটিউব। সাধারণত কোনো ভিডিও দেখা শেষ হলে সাইডবারে একইরকম ভিডিও দেখার রিকমেন্ড করে থাকে ইউটিউব।

এ ছাড়া সামাজিক আগ্রাসন ও ভয়ভীতিমূলক ভিডিও প্রদর্শনও বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা ফিটনেস–সংক্রান্ত ভিডিও সার্চ করতে পারলেও এ ধরনের ভিডিও সুপারিশ আকারে তাদের সামনে প্রদর্শিত হবে না। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে এখন শিশুদের ক্ষেত্রে এমন নিয়ম অনুসরণ করে থাকে ইউটিউব। কোনো কোনো ভিডিও একবার দেখলে ক্ষতির শঙ্কা থাকে না কিন্তু একাধিকবার দেখলে ক্ষতির হতে পারে। এসব ভিডিওকে ধরন অনুযায়ী গুচ্ছাকারে তালিকাভুক্ত করবে ইউটিউব।

ইউরোপের শিশুদের জন্য একটি ক্রাইসিস সেন্টার প্যানেল সুবিধা চালু করেছে ইউটিউব। কোনো শিশু যদি আত্মহত্যা বা ক্ষতিকর ভিডিও দেখে, তবে তার সামনে একটি প্যানেল চালু হবে। এই প্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য সাহায্য করবে।

সূত্র: এনগ্যাজেট ডটকম