দেশের বাজারে যে তিনটি নতুন অ্যান্টিভাইরাস আনল ক্যাসপারস্কি
অ্যান্টিভাইরাস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ‘ক্যাসপারস্কি নেক্সট’ সিরিজের তিনটি নতুন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে ক্যাসপারস্কি নেক্সট সিরিজের ইডিআর ফাউন্ডেশনস, ইডিআর অপটিমাম ও এক্সডিআর এক্সপার্ট অ্যান্টিভাইরাস বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন ক্যাসপারস্কি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মহাব্যবস্থাপক ইয়েও সিয়াং টিয়ং।
ইয়েও সিয়াং টিয়ং জানান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তার সব রকম চাহিদা পূরণ করতে নতুন সিরিজ আনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্যাসপারস্কি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ভিক্টর চ্যু পণ্যটির কৌশলগত খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। তথ্য নিরাপত্তাসংক্রান্ত এই প্রতিবেদকের প্রশ্নে তিনি জানান, ক্যাসপারস্কি রাশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রেও এটি বিপুল জনপ্রিয়। কারণ, সফটওয়্যারটির তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে কারও সন্দেহ থাকলে নির্ধারিত কেন্দ্রে এসে পছন্দমতো বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে কোড যাচাই করে সন্দেহমুক্ত হতে পারেন। আবার এর ডেটা সেন্টার সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত, যেটি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ দেশ। এ বিষয়গুলো ক্যাসপারস্কির স্বচ্ছতার প্রমাণ দেয়। ভিক্টর চ্যু জানান, যেহেতু সাইবার নিরাপত্তায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থা তৈরি হয় ব্যবহারকারীর অসচেতনতা ও জ্ঞানের অভাবে, তাই সফটওয়্যার প্যাকেজের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নতুন সিরিজের ইডিআর ফাউন্ডেশনস সফটওয়্যার ছোট তথ্যপ্রযুক্তি দলের জন্য উপযুক্ত—যেখানে ১০ থেকে ১ হাজার কম্পিউটার থাকতে পারে। ইডিআর অপটিমাম ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ কম্পিউটার পয়েন্ট–সমৃদ্ধ ক্ষুদ্র তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা দলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ২ হাজার ৫০০-এর বেশি কম্পিউটারযুক্ত বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হলো ‘এক্সডিআর এক্সপার্ট’।
উল্লেখ্য, ইডিআর অর্থ হলো ‘এন্ডপয়েন্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স’। এক্সডিআর অর্থ ‘এক্সটেন্টেড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স’। এখানে এন্ডপয়েন্ট হলো সেই কম্পিউটার, যেটিতে সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকবে। এর পাশাপাশি ব্যবসায়িক ই-মেইলে সুরক্ষা প্রদান, ক্লাউড সুবিধাগুলোয় সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষণ প্রতিবেদন সরবরাহের কাজগুলোও করবে এই সিরিজের সফটওয়্যারগুলো। সাইবার নিরাপত্তার নতুন নতুন হুমকি শনাক্ত করার জন্য এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
ক্যাসপারস্কির গবেষণা অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশে ১ কোটি ১৪ লাখ সাইবার ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। আর বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৪ লাখ ১১ হাজার নতুন ম্যালওয়্যার শনাক্ত হয়েছে, প্রতি সেকেন্ডে এই হার চারটির বেশি।