ফেসবুকের বিরুদ্ধে স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব ও অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের ওপর গোপনে নজরদারির অভিযোগ
২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ঘোস্ট বাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রকল্প চালু করা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গোপনে ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব ও অ্যামাজনের ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করা হতো। ব্যবহারকারীরা কীভাবে স্ন্যাপচ্যাটসহ এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে ফেসবুক নিজেদের সেবার মান উন্নয়নে কাজ করত বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে প্রকাশিত নথিতে এসব তথ্য জানা গেছে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার বিরুদ্ধে একটা মামলার অংশ হিসেবে এসব নথি পাওয়া গেছে। নথির তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপচ্যাট, অ্যামাজন ও ইউটিউবের থেকে এগিয়ে থাকতে এসব মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ওপর গোপনে নজরদারি চালাত ফেসবুক।
যেসব মাধ্যমে এনক্রিপশন সুবিধা চালু রয়েছে, সেগুলোর তথ্য নজরদারির জন্য বিশেষ প্রযুক্তিও প্রয়োগ করে ফেসবুক। এই নথিতে মার্ক জাকারবার্গের একটি অভ্যন্তরীণ ই-মেইলের তথ্যও উঠে এসেছে। সেই ই-মেইলে উল্লেখ রয়েছে, স্ন্যাপচ্যাট যেহেতু দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তাই এটি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। স্ন্যাপচ্যাটের তথ্য এনক্রিপটেড থাকায় বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব তথ্য সংগ্রহের কথাও বলা হয়েছে এই ই-মেইলে।
মার্ক জাকারবার্গের এই ই-মেইলের পর মেটার ডেভেলপাররা ওনাভো ব্যবহারের পরামর্শ দেন। ওনাভো ভিপিএনের মতোই একধরনের অ্যাপ। ২০১৩ সালে এই অ্যাপ অধিগ্রহণ করে ফেসবুক। ডেভেলপারদের দেওয়া পরামর্শের পর ওনাভো অ্যাপটি ব্যবহার করে স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারীদের কার্যক্রম নজরদারি করা হয়।
এর আগেও ফেসবুকের ভিপিএন অ্যাপ ওনাভো ব্যবহার করে গোপনে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালতে মেটাকে জরিমানাও করা হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস