৩ বছর পর আবার কেন মুখাবয়ব শনাক্তের সফটওয়্যার চালু করছে মেটা
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ ও নিয়ন্ত্রকের চাপের মুখে তিন বছর আগে ২০২১ সালে ফেসবুকের মুখাবয়ব শনাক্তের (ফেসিয়াল রিকগনিশন) সফটওয়্যার বন্ধ করে মেটা। তবে তিন বছর পর আবার এই ফেস রিকগনিশন চালু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গত মঙ্গলবার মেটা জানায়, তারকাদের নকল ছবি ব্যবহার করে ‘সেলেব-বেট’ নামে পরিচিত একধরনের প্রতারণা কৌশল মোকাবিলায় আবারও এ সুবিধার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা জানায়, প্রায় ৫০ হাজার জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ মানুষ বা পাবলিক ফিগারকে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি সন্দেহজনক ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে তুলনা করে মিলিয়ে দেখা হবে। যদি প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রিয় ব্যক্তির ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে সেসব বিজ্ঞাপন ব্লক করে দেবে মেটা। অবশ্য এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য তারকাদের নির্বাচন করার পর তাঁদের জানানো হবে। তাঁদের সম্মতি সাপেক্ষে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে তাঁদের যুক্ত করা হবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম বিশ্বের সব দেশেই চালু করার পরিকল্পনা মেটার। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধার কারণে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও ইলিনয় রাজ্যের মতো জায়গায় এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
মেটার কনটেন্ট পলিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বিকার্ট জানান, তাঁদের মূল লক্ষ্য হলো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান। কারণ, তাঁদের ছবি প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয় এবং অনেকে এসব বিজ্ঞাপনের জন্য প্রতারিত হন। তাঁদের উদ্দেশ্য হলো যতটা সম্ভব এমন ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। চাইলে তাঁরা এতে অংশ নিতে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে এক ঘোষণায় ফেসিয়াল রিকগনিশন সুবিধা বন্ধ করে মেটা। সুবিধাটির ফলে ফেসবুকে কোনো ছবি পোস্ট করলে সেই ছবিতে থাকা ব্যক্তিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা যেত। এ প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কারণে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস