যে ৫ কারণে বন্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। আবার অ্যাপটি ব্যবহার করে অনেকে অডিও এবং ভিডিও কলও করে থাকেন। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে বিনিময় করা তথ্যও থাকে সুরক্ষিত। তবে এ অ্যাপেও প্রতারণার হার বাড়ছে। এ জন্য ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সুবিধাও রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ক্ষতিকর ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত হলে তা সাময়িক বা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেয় মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুধু ভারতেই ৭৬ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে তাই সতর্কতাও দেওয়া রয়েছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পাঁচ সম্ভাব্য কারণ থাকছে এ লেখায়।
অননুমোদিত অ্যাপ ব্যবহার
হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, জিবি হোয়াটসঅ্যাপ এবং হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস এর মতো থার্ড পার্টির আন-অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে। কারণ এসব নকল সংস্করণ হোয়াটসঅ্যাপ অনুমোদিত নয়। তাই গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপের অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
অন্যের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে
অন্যের নাম, পরিচয় ও তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে। প্রতারকেরা অনেক সময়ই তারকা, জনপ্রিয় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণা করে থাকে। এমন কার্যক্রম শনাক্ত হলে চিরস্থায়ীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অপরিচিত ব্যক্তিকে অনেক বেশি বার্তা পাঠানো
কোনো ব্যক্তি যদি অপরিচিত হয় এবং কন্টাক্ট লিস্টে না থাকে, তবে সেই ব্যক্তিকে অনেক বেশি বার্তা পাঠালে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপে বাল্ক মেসেজ পাঠালে অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। এ ছাড়া অটো মেসেজ বা ডায়াল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপটি। কারণ মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে অটো মেসেজ বা ডায়াল শনাক্ত করে হোয়াটসঅ্যাপ।
অনেক বেশি অভিযোগ পেলে
নির্দিষ্ট সময়সীমায় কোনো অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে যদি অসংখ্য অভিযোগ বা রিপোর্ট জমা হয়, তবে সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। তাই অপরিচিত কাউকে বার্তা পাঠানো, বাল্ক মেসেজ পাঠানো ও অসমর্থিত উৎসের ভুয়া তথ্য ছড়ানো থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
ভুয়া তথ্য ছড়ালে ও নীতি লঙ্ঘন করলে
অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে কিংবা ভুয়া তথ্য ছড়ালে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের যে শর্ত ও নীতিমালা রয়েছে, সেগুলো মেনে চলতে হবে।
সূত্র: নিউজ ১৮ ডটকম