কনটেন্ট মূল্যায়নে ভিউসকে মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করবে ফেসবুক
আধেয় বা কনটেন্ট কেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তা মূল্যায়নে ইনস্টাগ্রামের মতো নতুন মানদণ্ড হিসেবে এখন থেকে ‘ভিউস’ অর্থাৎ কতবার সেই কনটেন্ট দেখা হলো, তা বিবেচনা করবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এর ফলে কনটেন্ট মূল্যায়নে ভিডিওর পাশাপাশি ছবি, লিখিত পোস্টসহ সব ধরনের কনটেন্টে ভিউস গণনা করা হবে।
ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি চলতি বছরে ইনস্টাগ্রামে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। তাঁর মতে, পুরো মাধ্যমে একক মাপকাঠি থাকলে কনটেন্ট নির্মাতারা সহজেই তাঁদের কাজের সাফল্য বা ব্যর্থতা মূল্যায়ন করতে পারবেন। রিলসের ক্ষেত্রে ভিডিওটি কতবার দেখা হয়েছে তা ভিউ হিসেবে গণ্য করা হবে। অন্য কনটেন্টের ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহারকারীর পর্দায় প্রদর্শিত হলেই একটি ভিউ হিসেবে ধরা হবে। একাধিকবার দেখলে প্রতিবারই নতুন ভিউ হিসেবে গণনা করা হবে।
এদিকে সম্প্রতি মেটা তাদের থ্রেডসেও ভিউ গণনা যুক্ত করেছে। মেটা বলছে, এই পদক্ষেপ কনটেন্ট নির্মাতাদের তাঁদের কাজের ফলাফল মূল্যায়নে আরও স্বচ্ছতা আনবে। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এই পরিসংখ্যান কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কনটেন্ট কতগুলো পর্দায় পৌঁছেছে, তা জানার পাশাপাশি সেটি কেন প্রদর্শিত হয়েছে, সেই তথ্য জানা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
টুইটারের মালিকানায় আসার পর থেকেই ইলন মাস্কও এই ভিউস মেট্রিককে গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এ ধরনের মেট্রিকস যেমন ভিউস, ইমপ্রেশনস ইত্যাদি প্রায়ই সময়ের সঙ্গে বদলে যায় এবং মাধ্যমগুলো তাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী এসব মেট্রিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বলা হচ্ছে, এখন মেটার লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের আরও বেশি সময় ধরে কনটেন্ট দেখাতে ব্যস্ত রাখা। ফেসবুকের এই পরিবর্তন কনটেন্ট নির্মাতা ও ব্র্যান্ডগুলোর জন্য কৌশলগত পরিবর্তন আনার সুযোগ তৈরি করবে।
সূত্র: দ্য ভার্জ