নতুন ‘ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার’ চালু করল ক্যাসপারস্কি

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে নতুন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করেছে ক্যাসপারস্কিরয়টার্স

গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই) কর্মসূচির আওতায় নিজেদের তৈরি সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যারের মান সম্পর্কে ধারণা দিতে নতুন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করেছে ক্যাসপারস্কি। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অবস্থিত সেন্টারটিতে গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার হুমকি প্রতিরোধে ক্যাসপারস্কির নিয়মাবলি জানার পাশাপাশি সফটওয়্যারের সোর্স কোড পরীক্ষাসহ সেগুলো হালনাগাদ করতে পারবে। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ চালুর মাধ্যমে প্রথম সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সফটওয়্যার পর্যালোচনার জন্য সোর্স কোড উন্মুক্ত করেছে ক্যাসপারস্কি। ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারটিতে সোর্স কোড বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার তথ্য জানা যাবে। ফলে ক্যাসপারস্কি ব্যবহারকারীরা সাইবার হামলার হুমকি বিশ্লেষণসহ সফটওয়্যারের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে পারবেন।

ক্যাসপারস্কির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয়, জাপান ও মধ্যপ্রাচ্যের গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও পাবলিক পলিসি বিভাগের পরিচালক জেনি সুজেন গান বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আস্থা তৈরিতে আমাদের চেষ্টার প্রমাণ এই ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারগুলো। সিউল সেন্টারের মাধ্যমে আমাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রতি সবার আস্থা তৈরি ও বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা বন্ধে আমরা সাহায্য করতে চাই।’

নতুন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালুর পাশাপাশি ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে ক্যাসপারস্কি। নতুন এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের প্রথমার্ধে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ক্যাসপারস্কি ৯টি দেশ থেকে মোট ৬১টি আবেদন পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৩ শতাংশ কম।