শুধু ছবি দেখেই স্থান শনাক্ত করবে এআই

গুগল ম্যাপস থেকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে নতুন এআই টুলকেরয়টার্স

ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য অনেকেই গাড়ির নম্বরপ্লেট, বাসার নম্বর বা স্থানের নাম ছবিতে দেখা গেলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন না। তবে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন একটি প্রোগ্রাম বা টুল নিয়ে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এই এআই টুল শুধু ছবির পটভূমি বা রাস্তা দেখেই স্থান শনাক্ত করতে পারবে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই প্রকল্পের নাম ‘প্রেডিক্টিং ইমেজ জিও লোকেশনস’ বা পিআইজিইওএন। তাঁদের এই টুল বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গুগলের স্ট্রিট ভিউ থেকে সঠিক জায়গাটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের ছবি দেখে যথাযথভাবে স্থান শনাক্ত করেছে এই টুল। আর ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্থানের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে একেবারে সঠিক স্থান দেখাতে সক্ষম হয়েছে। টুলটির স্থান শনাক্তের যথার্থতা নিয়ে প্রমাণও মিলেছে। ওয়েবসাইটে সাধারণত স্থান শনাক্ত নিয়ে একধরনের গেম খেলা যায়। এই ওয়েবসাইটে যথাযথভাবে স্থান শনাক্তের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে টুলটি। এতে শীর্ষ ০.০১ শতাংশের ঘরে অবস্থান করছে টুলটি। জিওগেসারে ছয় ম্যাচের সিরিজে পেশাদার স্থান শনাক্তকারী ট্রেভর রেইনবোল্টকেও হারিয়ে দিয়েছে টুলটি। এই এআই টুলকে এক লাখ প্রকৃত ছবি ও জিওগেসারের বিভিন্ন ছবি দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পিআইজিইওটিটিও নামে ভিন্ন একটি মডেল নিয়েও কাজ করছেন। যেখানে ফ্লিকার ও উইকিমিডিয়া থেকে ৪০ লাখের বেশি ছবি দিয়ে মডেলটিকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।

অবশ্য এই টুল নিয়ে নিরাপত্তা উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন অনেকে। ঝুঁকি থাকলেও অনেকের মত হলো, এ ধরনের টুল স্বয়ংক্রিয় গাড়িচালনা, ভিজ্যুয়াল তদন্তসহ স্থান নিয়ে যাঁদের কৌতূহল রয়েছে, তাঁদের জন্য সহায়ক হবে। অবশ্য উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীরা টুলটি জনপরিসরে উন্মুক্ত না করে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কাজে উন্মুক্ত করেছেন।
সূত্র: জেডডিনেট ডটকম