ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে তহবিল সংগ্রহের জন্য ই–মেইল এবং ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির গবেষণায় জানা গেছে, সাইবার অপরাধীরা ৫০০–এর বেশি প্রতারণামূলক ই–মেইল পাঠিয়েছে এবং দ্রুত অর্থ হাতিয়ে নিতে ভুয়া ওয়েবসাইটও তৈরি করেছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতারণামূলক এসব ই–মেইল ইংরেজি ভাষায় লেখা। প্রতিটি ই–মেইলে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদানে এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রায় ৫৫০ ই–মেইল শনাক্ত করা হয়েছে।
ক্যাসপারস্কির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আন্দ্রে কোভতুন বলেন, এই ই–মেইলগুলোর ভাষা প্রতারণামূলক মনে হয় না। বরং সহানুভূতি তৈরির চেষ্টা দেখা যায়। এতে করে গ্রাহকেরা ই–মেইল পড়েই অনুদান দিতে উদ্বুদ্ধ হন। ‘কল্যাণের জন্য আপনার সহানুভূতি কামনা করছি’, ‘আপনার সহানুভূতি এবং উদারতা দেখিয়ে এগিয়ে আসুন’ এ রকম বাক্য ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ‘সহায়তা’ বা এর প্রতিশব্দগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
ই–মেইলে অনুদান দেওয়ার জন্য ভুয়া ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে বিভিন্ন ছবি এবং আবেগপ্রবণ লেখা থাকে। সেখানে অনুদান দিতে উৎসাহিত করা হয়। এসব কৌশল ব্যবহার করে যাতে খুব দ্রুত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া যায়, এ জন্য সহজে অর্থ দেওয়ার বিভিন্ন উপায়ও যুক্ত থাকে। এমনকি প্রচলিত মুদ্রা ছাড়াও বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, টিথারের এর মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনেরও সুযোগ থাকে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, অনুদান দেওয়ার আগে গ্রহীতা বা দাতব্য সংস্থা সম্পর্কে তথ্য যাচাই করতে হবে। ওয়েবসাইটটি ভুয়া কি না, তা যাচাই করে নিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া