চ্যাটবট ব্যবহার করতে মানা গুগল কর্মীদের, কিন্তু কেন
নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট ‘বার্ড’সহ অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারে কর্মীদের সতর্ক করেছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় সংবেদনশীল ও গোপন তথ্য না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট ব্যবহারে কর্মীদের সতর্ক করার বিষয়টি স্বীকার করে অ্যালফাবেট জানিয়েছে, তথ্য সুরক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালার অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই স্যামসাং, অ্যামাজন, অ্যাপলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মীদের এআই চ্যাটবট ব্যবহারে সতর্ক করেছে।
অ্যালফাবেটের দেওয়া সতর্কবার্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি যেকোনো প্রোগ্রাম ব্যবহার না করতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যালফাবেট জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট ‘বার্ড’ অনেক সময় কাল্পনিক কোডের পরামর্শ দিতে পারে। তবে এটি অবশ্যই প্রোগ্রামারদের সহায়তা করে। প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা নিয়ে স্বচ্ছ অবস্থানে থাকতে চায় অ্যালফাবেট।
নিজেদের তৈরি বার্ড চ্যাটবটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে অ্যালফাবেটের এই সতর্কবার্তা প্রযুক্তিবিশ্বে উদ্বেগ ও আশঙ্কা তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারে তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এক জরিপ চালিয়েছে পেশাজীবীদের যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম ফিশবল। এতে প্রায় ১২ হাজার পেশাজীবীই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। জরিপের তথ্য মতে, প্রায় ৪৩ শতাংশ পেশাজীবী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চ্যাটজিপিটি বা অন্য প্রতিষ্ঠানের এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট ব্যবহার করেছেন।
গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিয়ে আসে। চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পাল্লা দিতে এ বছরের মার্চে বার্ড চ্যাটবট উন্মুক্ত করে গুগল। বার্ড চ্যাটবট উন্মুক্তের আগে কর্মীদের ওপর পরখ করে প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় চ্যাটবটটিতে নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো তথ্য যুক্ত না করার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল গুগল।
সূত্র: গ্যাজেটস৩৬০