অনলাইন কেনাকাটায় তথ্য চুরির নতুন ফাঁদ
অনলাইনে কেনাকাটা এবং লেনদেন জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে। সম্প্রতি অনলাইনে ক্রেতাদের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘ব্রাশিং স্ক্যাম’ নামে একধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে ক্রেতাদের অজান্তে তাঁদের নাম ব্যবহার করে ই-কমার্স সাইটে পণ্যের ভুয়া রিভিউ প্রকাশ করা হয় এবং পণ্যের বিক্রির সংখ্যা কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্য বিক্রির সংখ্যা বাড়িয়ে অন্য ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করা ব্রাশিং স্ক্যাম প্রতারণার মূল উদ্দেশ্য। এই প্রতারণা কৌশলের কারণে অনলাইনে থাকা নিম্নমানের পণ্যকেও মানসম্পন্ন এবং জনপ্রিয় বলে বিশ্বাস করেন অন্য ক্রেতারা। ফলে তাঁরা ভুয়া রিভিউ দেখে পণ্য কেনার মতো সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তা–ই নয়, রিভিউ এবং বিক্রির সংখ্যা বেশি থাকায় নিম্নমানের পণ্যটি আলীএক্সপ্রেস বা অ্যামাজনের মতো প্ল্যাটফর্মে বেশি দেখানো হয় এবং ক্রেতারা সেই পণ্যকে জনপ্রিয় ভেবে প্রতারিত হন।
ব্রাশিং স্ক্যাম প্রতারণার সঙ্গে মূলত ই–কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রি করা বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত। তাদের বিক্রি করা পণ্যগুলোর মানের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। এর ফলে মানহীন পণ্য কেনার পাশাপাশি ক্রেতাদের ব্যক্তিগত তথ্যও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কারণ, প্রতারকেরা চাইলেই ক্রেতাদের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ করতে পারে।
ব্রাশিং স্ক্যাম প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকতে অনলাইনে পণ্য কেনার সময় বিক্রেতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পণ্যের মান যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অ্যাকাউন্টে দুই স্তরের নিরাপত্তাসুবিধাও (টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: টেকলুসিভ ডটকম