স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার সংক্রমণের পাঁচ লক্ষণ

ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার যুক্ত অ্যাপের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ম্যালওয়্যার
রয়টার্স

একসময় মুঠোফোন ব্যবহারে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার বা অন্যান্য ম্যালওয়্যার সংক্রমণ সম্পর্কে চিন্তা করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু অনলাইনের পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধীদের তৎপরতা বেড়েছে। যে কারণে স্মার্টফোনে ম্যালওয়ার সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে দিন দিন। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে মুঠোফোন নিরাপদ রাখা যায়। তবে কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারই ম্যালওয়ারমুক্ত যন্ত্রের জন্য শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাই স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ হয়েছে কি না, তার কয়েকটি লক্ষণ জেনে রাখা ভালো।


স্মার্টফোন ঠিকঠাক কাজ না করলে ম্যালওয়ার সংক্রমণ হতে পারে। স্টোরেজ ঠিক করার পর কিংবা সফটওয়্যার হালনাগাদ করার পরও যদি মুঠোফোন ধীরগতিতে কাজ করে কিংবা ব্যাটারির চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায় তবে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া শক্তিশালী সেলুলার নেটওয়ার্ক থাকার পরও কলড্রপ হলে সেটাও ম্যালওয়ার সংক্রমণের লক্ষণ।


কিছু কিছু ম্যালওয়্যার ব্যবহারকারীর অজান্তেই স্মার্টফোনে অ্যাপ নামিয়ে দেয়। এগুলো যেমন স্মার্টফোনের ক্ষতির কারণ হতে পারে, তেমনি মুঠোফোনে আড়িপাতার মাধ্যমে তথ্য বেহাত হতে পারে। বাড়তি অ্যাপ্লিকেশন থাকায় মুঠোফোনের স্পেস কমে যায় এবং ধীরগতিতে কাজ করে। ফলে স্মার্টফোনে কোন কোন অ্যাপ রয়েছে, তা নিয়মিত যাচাই করে দেখতে হবে। এমনকি অ্যাপের সক্রিয়তার তথ্য সেটিংস অপশন থেকে দেখা যেতে পারে।  


ম্যালওয়্যার যেহেতু গোপনে সংক্রমণ করে তাই মুঠোফোনের বিল যাচাই করেও লক্ষণ বোঝা যায়। ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ফলে অনেক সময় অজান্তে অ্যাপ কেনা কিংবা কোনো পেইড প্রোগ্রাম ডাউনলোড হতে পারে। এ ছাড়া প্রিমিয়াম, রোমিং বা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সট চার্জ এলেও তা ম্যালওয়্যার সংক্রমণের লক্ষণ। সাধারণত সাইবার অপরাধীরা এসব উপায় অবলম্বন করে অন্যের মুঠোফোন থেকে তথ্য পাঠিয়ে থাকে।


স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ অনেকটা কম্পিউটারে সংক্রমণের মতোই। ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়লে হুট করে প্রচুর অযাচিত পপ অ্যাড দেখা যায়। বিনা মূল্যের অনেক অ্যাপ আছে, যেগুলো বিজ্ঞাপন দেখায়। কিন্তু সাধারণত এগুলো চালানোর সময় পপ–আপ বিজ্ঞাপন দেখায় না। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা গেলে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক ম্যালওয়্যার পপ–আপ বন্ধ করা যায় না। ভুলেও সেগুলোতে ক্লিক করা যাবে না। পপ–আপে ক্লিক না করাই ভালো।


র‍্যানসমওয়্যার সাধারণত স্মার্টফোনে কম সংক্রমিত হয়। তবে এ ধরনের সংক্রমণে ফাইল কিংবা পুরো ফোন লকড হয়ে যায়। লক খোলার জন্য অর্থ চাওয়া হয়। তবে অর্থ পাওয়ার পরও সাইবার অপরাধীরা সাধারণত স্মার্টফোন কিংবা ফাইলের লক খুলে দেয় না। তাই স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয় ফাইল বা তথ্যের ব্যাকআপ রাখা উচিত। ফলে স্মার্টফোন রিসেট দেওয়ার পরও প্রয়োজনীয় তথ্য ফিরিয়ে আনা যায়।