বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতারা কেন ফিরে যেতে চাচ্ছেন তেল-গ্যাসের গাড়িতে
জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কয়েক বছর ধরেই বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) চাহিদা ও উৎপাদন বাড়ছে। আর তাই টেসলা, বিওয়াইডিসহ বিশ্বের বড় প্রায় সব গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারও বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়লেও ক্রেতাদের অনেকেই এসব গাড়ি ব্যবহার করে অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকিঞ্জি। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশনের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমস্যা ও সফটওয়্যারজনিত ত্রুটির জন্য অনেক ক্রেতা বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের অনেকেই আবার তেল ও গ্যাসে চলা ইঞ্জিনের গাড়ি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।
ম্যাকিঞ্জির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন ও গাড়ির মডেল পরিবর্তনের সামর্থ্য না থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের ৪৬ শতাংশই তেলের গাড়িতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, ৪৪ শতাংশ সম্ভাব্য ক্রেতা বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৯ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিক তেল ও গ্যাসে চলা ইঞ্জিনের গাড়িতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন।
অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় চলাচল করা গাড়িগুলোর প্রায় অর্ধেকই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে পাবলিক ইভি চার্জার স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ উদ্যোগের আওতায় গত তিন বছরে তুলনামূলক কম চার্জিং স্টেশন তৈরি হওয়ায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতাদের তেমন উপকার হচ্ছে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, আগামী চার বছর বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি ২১ শতাংশ হারে বাড়বে। এর ফলে ২০২৩ সালের তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়বে প্রায় ৩৩ শতাংশ। চীন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি ৪০ শতাংশ বাড়লেও পুরোনো ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয়তা কমছে।
সূত্র: ফক্স বিজনেস