গাড়ির ব্রেক কাজ না করলে

গাড়ির ব্রেক কাজ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।রয়টার্স

যাত্রাপথে যে সমস্যাটি সবচেয়ে ভয়ংকর সেটি হলো, গাড়ির ব্রেক কাজ না করা। গাড়ির ব্রেক কাজ না করার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। নিয়মিত ব্রেকের সার্ভিসিং না করানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন একই ব্রেক ফ্লুইড, প্যাড ব্যবহারসহ ব্রেক প্রেস করার লিভারের নিচে থাকা ডাস্ট কভারে ময়লা জমে গেলেও ব্রেক ঠিকমতো কাজ করে না। যখনই বুঝতে পারবেন ব্রেক কাজ করছে না, তখন হ্যান্ড ব্রেক বা জরুরি ব্রেক সিস্টেমের ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য প্রথমেই গাড়ির জরুরি সংকেত জ্বালিয়ে ব্রেকে চাপ দিয়ে গিয়ার লিভারকে এন বা নিউট্রালে নিয়ে আসতে হবে। এরপর হ্যান্ড ব্রেক আস্তে আস্তে টানতে বা প্রেস করতে হবে।

নতুন মডেলের অত্যাধুনিক গাড়িতে সুইচের মাধ্যমে হ্যান্ড ব্রেক ব্যবহার করা যায়। পুরোনো মডেলের গাড়িগুলোতে পায়ের দিকে অথবা ব্রেক প্যাডেলের পাশে ইমার্জেন্সি ব্রেক বা পার্কিং ব্রেক থাকে। বাঁ পায়ের মাধ্যমে ব্রেক প্যাডেলে চাপ দিয়ে হ্যান্ড ব্রেক চালু করতে হয়। সাধারণ গাড়িগুলোতে চালকের আসনের বাঁ পাশে হ্যান্ড ব্রেক থাকে। লিভারটি ওপরের দিকে টেনে দিলে জরুরি ব্রেক সিস্টেম চালু হয়ে যায়। জরুরি ব্রেক সিস্টেম চালু হলে ড্যাশবোর্ডে একটি সংকেত দেখা যাবে। গাড়ির গতি কমে এলে রাস্তার বাঁ পাশে গাড়ি থামাতে হবে। অনেক সময় দীর্ঘপথ চলতে চলতে গাড়ির ব্রেক প্যাড গরম হয়েও ব্রেকের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ মিনিট বিরতি দিলে গাড়ির ব্রেক প্যাডের তাপমাত্রা কমে যাবে। ফলে পুনরায় গাড়ি চালানো যাবে।

গাড়ির ব্রেক লিভারের নিচে ফ্লোর ম্যাটের অংশ ঢুকে গেলেও ব্রেক লিভারে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে গাড়ির ব্রেক করতে সমস্যা হয়। সমস্যা সমাধানে ফ্লোর ম্যাটটি বের করে ব্রেক লিভারে চাপ দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। যদি সঠিক চাপ পাচ্ছে মনে হয়, তাহলে ফ্লোর ম্যাটটি ব্রেক লিভার থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রেখে গাড়ি চালাতে হবে। পাহাড়ি রাস্তায় ব্রেকের ব্যবহার বেশি হয়। গাড়িতে যদি হিল অ্যাসিস্ট অপশন থাকে, তাহলে তা চালু করে দিন। অথবা গিয়ারের লিভারটিকে ডি থেকে বিতে নামিয়ে পাহাড়ি রাস্তায় নামুন। এতে ইঞ্জিন ব্রেকিং সিস্টেম চালু থাকবে। ব্রেক প্যাড অতিরিক্ত গরম হবে না।